You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সিনিয়র সিটিজেনদের দিকে আসুন দৃষ্টি দিই

জীবন এক বহমান সময়। বয়ে চলে আপন নিয়মে। এক সময়ে তার শেষও হয়। স্বাভাবিক কিম্বা অস্বাভাবিক নিয়ম যেভাবেই হোক না কেন তার শেষ হবেই। এটাই সত্য। ধরে নেয়া হয়, স্বাভাবিক নিয়মে একজন মানুষ শৈশব, কৈশোর, যৌবন পার করে বার্ধক্যে পৌঁছার পরেই যেমন তার জাগতিক কর্ম থেকে ছুটি হয়ে যায় তেমনিভাবে মহাকাল এসে এক সময় তাকে গ্রাস করে নেয়। বেজে ওঠে অনন্তের পথে চলার ছুটির ঘন্টাটি। আর অস্বাভাবিক মৃত্যুর তো কোনো সময় নেই। নেই কোন হিসাব-কিতাব।

উন্নত বিশ্বে প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে ‘‘সিনিয়র সিটিজেন” বলে শুধু লোক দেখানো সম্মান নয়; বরং তাদের জীবনকে উপভোগ করার জন্য যথাসাধ্য সকল ব্যবস্থা রাষ্ট্রই করে থাকে। অনেক সিনিয়র সিটিজেন আছেন যারা এ বয়সেও সমান কর্মক্ষম থাকেন। তাদের চিন্তা, বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতাকে সমাজ এবং রাষ্ট্র কাজে লাগায়। এর ফলে তারাও দেশ ও দশের অগ্রগতিতে পূর্বের ন্যায় অংশগ্রহণ করতে পেরে সম্মানিতও বোধ করে থাকেন।

প্রবীণদের জন্য আশ্রয় নিবাস তৈরি, তাদের চিকিৎসা এবং দেখাশোনা করার জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা আর দেরি না করে সমন্বিতভাবে শুরু করতে হবে। অন্ততপক্ষে জেলাওয়ারি সার্ভিলেন্স করে সে অনুসারে শুরুটা করা যেতে পারে। একবার শুরু হয়ে গেলে নিশ্চয়ই তা ধীরে ধীরে উন্নততর হতে থাকবে-সে প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। উন্নত বিশ্বের কথা মাথা রাখলে এটা অন্তত বলতেই হবে যে, আমাদের দেশে ৬০ বছর ও এর বেশি বয়সী নাগরিকদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কারণ আগে স্বীকৃতিটুকুই ছিলো না। এ সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১৪ সালে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। সে আলোকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ঐ বছরেই প্রবীণ ব্যক্তিদেরকে “সিনিয়র সিটিজেন” হিসেবে ঘোষণা করেন।

এ সময়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা পরিচয়পত্র দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। দুঃখের বিষয় হলো- সে পরিচয়পত্র আজও দেয়া হয়নি। তেমনিভাবে তাদের সেবা পাওয়ার সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা সম্ভবপর হয়নি। যদিও ১৯৯৭-৯৮ সাল থেকে আমাদের দেশে বয়স্ক ভাতা চালু হয়েছে। যদিও এত বছর পরে এসে সে সেবা আরো মজবুত ও দৃঢ়ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে যাবার কথা ছিল। বাস্তবে তা হয়ত নানাকারণেই হয়নি।

প্রবীণ নীতিমালা এবং বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মায়ের ভরণপোষণের জন্য আইন প্রণীত হলেও রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমাদের আরো জোর প্রচেষ্টা নেয়া দরকার। কারণ আমাদের পূর্বসূরীদেরকে ভালো রাখার দায়িত্ব তো আমাদেরই। আমার দৃষ্টিতে প্রবীণ বয়সে ৩ টি জিনিসের খুব বেশি প্রয়োজন হয়। খাদ্য, চিকিৎসা এবং নিরাপদ বাসস্থান। এর সাথে বিনোদনসহ তাদেরকে কর্মমুখর রাখার জন্য স্ব স্ব ক্ষেত্রে কিভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এজন্য স্বল্প পরিসরে আমি কিছু প্রস্তাবনা রাখছি-

(১) প্রথমেই আসা যাক প্রবীণদের খাবার গ্রহণ প্রসঙ্গে। বৃদ্ধ বয়সে আমরা জানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা দরকার। শুধু ভাত খেলে হবে না। তাছাড়া ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপারটেনশনসহ নানাবিধ জটিলতাও তৈরি হয়। এজন্য সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এলাকাভিত্তিক সরকারি দোকান চালু করতে হবে। সেখানে নির্ধারিত কার্ডের মাধ্যমে ফ্রি অথবা স্বল্পমূল্যে ডিম, দুধ, শাকসবজি, ফলমূল বিক্রির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন