সন্তানের জন্যই চাই মায়ের পুষ্টি
কিশোরী ও মায়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিমিত পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার ওপর নির্ভর করে ভ্রূণ ও শিশুর বেঁচে থাকা, শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ। প্রজনন সক্ষম (১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী) নারী ও কিশোরীদের পুষ্টির চাহিদা বেশি। গর্ভধারণকাল থেকে শুরু করে শিশুর দুই বছর বয়স (প্রথম এক হাজার সোনালি দিন) পর্যন্ত মাতৃপুষ্টির গুরুত্ব বেশি। মা, নবজাতক ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য ও মেধা বিকাশের জন্য গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী মায়েদের সুষম এবং পর্যাপ্ত খাদ্যের প্রয়োজন।
মাতৃ অপুষ্টির ধরন ও কারণ
মাতৃ অপুষ্টি বিভিন্ন রকম হতে পারে—
কোনো নারীর বিএমআই ১৮.৫-এর কম হলে তাঁকে ক্ষীণকায়; কোনো নারীর বিএমআই ২৫-এর বেশি হলে তাঁকে অতি ওজন বা স্থূলকায় আর কোনো নারীর উচ্চতা ১৪৫ সেন্টিমিটারের কম হলে তাঁকে খর্বকায় বলা হয়। আবার কোনো নারীর রক্তে রক্তকণিকার মোট সংখ্যা বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে তা রক্তস্বল্পতা নামে পরিচিত। মাতৃ অপুষ্টির মূল কারণগুলো অপর্যাপ্ত খাদ্যাভ্যাস ও যত্ন, অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা, দারিদ্র্য, লিঙ্গবৈষম্য, বাল্যবিবাহ, গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের উচ্চহার।