কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মজুরি বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ম্ফীতি বেশি

সমকাল প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২২, ১১:৩১

আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে গত কয়েক মাসে দেশে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। আয়ও কিছুটা বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের। তবে যে হারে পণ্যমূল্য বেড়েছে, সে হারে আয় বাড়েনি তাদের। এতে সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে চাপে আছেন তারা। কারণ, খাদ্যপণ্য কিনতেই তাদের মজুরির বড় অংশ খরচ হয়।


গত তিন মাসের মধ্যে জানুয়ারিতে মজুরি বেড়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ ও মার্চে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ হারে। অন্যদিকে, এ তিন মাসে সার্বিক মূল্যস্ম্ফীতি বেড়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ৬ দশমিক ১৭ ও ৬ দশমিক ২২ শতাংশ হারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


মজুরি সূচক নির্ধারণে কম মজুরির দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকের কর্মঘণ্টা কিংবা হাজিরাভিত্তিক দৈনিক আয়কে বিবেচনা করে থাকে বিবিএস। মাসিক কিংবা চুক্তিভিত্তিক আয়কে মজুরির হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। মজুরির হার নির্ধারণে কৃষি, শিল্প ও সেবা- বড় এ তিন খাতের ৪৪টি পেশাকে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে কৃষি খাতের পেশা ১১টি, শিল্পের ২২টি ও সেবা খাতের ১১টি পেশা রয়েছে।


সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের মতে, যে হারে মূল্যস্ম্ফীতি বেড়েছে, সে হারে মজুরি না বাড়ায় সাধারণ শ্রমিকরা আসলেই সংকটের মধ্যে আছেন। বাধ্য হয়ে তারা তিনভাবে কম আয়কে সমন্বয় করার চেষ্টা করছেন। হয় তারা সঞ্চয় ভেঙে মাসের খরচ মেটাচ্ছেন, অথবা ধারদেনা করে কিংবা পরিমাণের তুলনায় কম খাবার খেয়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে তাদের। কোনো কোনো শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এক সঙ্গে এ তিন ধরনের ঘটনাই ঘটছে। সমকালকে তিনি আরও বলেন, করোনার পর কাজে ফিরেছেন সাধারণ মানুষ- এটা অবশ্যই ভালো দিক, তবে ন্যায্য মুজরি না পাওয়াটা দুঃখজনক।
পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ম্ফীতি বেড়েছে বেশি হারে। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ম্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২২ এবং ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আবার শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ম্ফীতি বেশি। গত দুই মাসে শহরাঞ্চলে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ম্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩০ এবং ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অথচ ওই দুই মাসে গ্রামাঞ্চলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ম্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৬২ এবং ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও