কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঈদযাত্রা হোক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত

দেশ রূপান্তর ড. রাহমান নাসির উদ্দিন প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩০

প্রতি বছর ঈদের নানান সংবাদের মধ্যে একটি অন্যতম সংবাদ থাকে ঈদযাত্রার নানান ভোগান্তি। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দীর্ঘ এত মাইল যানজট বা লঞ্চে উপচেপড়া ভিড় ও ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন কিংবা ফেরিঘাটে দীর্ঘ ও তীব্র যানজট প্রভৃতি সংবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এসব সংবাদ আমাদের ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটা, ঈদের জমজমাট বাজার কিংবা নানান ঈদ-সম্পর্কিত রিচুয়ালসের অংশ হয়ে উঠেছে। ফলে, আমরাও অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি এবং ভোগান্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছি।


কেননা, নানান সীমাবদ্ধতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আমাদের এখন জাতীয় চরিত্রের অংশে পরিণত হয়েছে। এটার অবশ্য অনেকগুলো ভালো দিক আছে। কেননা, প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশে চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকবে এবং কোটি কোটি মানুষের বহুমাত্রিক আকাক্সক্ষার সবসময় পূর্ণতা থাকবে না, সেটা খুবই স্বাভাবিক। ফলে, ‘মানিয়ে নেওয়াই ভালো’ এ জাতীয় মানসিকতা আমাদের তৈরি হয়ে গেছে। তাছাড়া, মানুষ এমনিতেই প্রাণী হিসেবে ঐতিহাসিকভাবেই শ্রেষ্ঠ অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণী। ফলে, ঈদযাত্রার নানান ভোগান্তিও মানুষ মোটামুটি মেনে নিয়েছে। এবং সে মোতাবেক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। চরম ভোগান্তিতে থাকা ঘরমুখী মানুষের যখন সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তখন এসব মানুষ অত্যন্ত চমৎকার একটা হাসি নিয়ে বলে, ‘ঈদের আনন্দ করতে হলে তো একটা কষ্ট হবেই। মা-বাবা ভাই-বোনদের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করব। সে আনন্দের কাছে এ কষ্ট কিছুই না’। মানুষের এই যে মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতা এবং পরিবারের সঙ্গে ঈদ-আনন্দ শেয়ার করার মানসিকতা, এটাও আমাদের ঈদ সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। তথাপি, সম্প্রতি যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এবারের ঈদযাত্রার যে একটা ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সেটা খানিকটা চিন্তার উদ্রেক করেছে বৈকি। আমরা সবাই চাই, আমাদের সবার ঈদযাত্রাটা নিরাপদ হোক কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব সেটাই মূল প্রশ্ন। তবে, আজকের দুনিয়াতে অসম্ভব বলে খুব বেশি কিছু কী আছে? সেটাও আশার আলো দেখায়! 


এটা এখানে লেখা বাহুল্য যে, ২০২০ এবং ২০২১ সালের ঈদযাত্রাটা খুব একটা আনন্দদায়ক ছিল না। করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঈদযাত্রাকে পুরোপুরি নিরুৎসাহিত করেছে এবং ঈদের সময় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। কিন্তু মানুষকে রুখে রাখা যায়নি। ‘দ্যাশের টান’কে রুখে দেওয়ার সাধ্য করোনাভাইরাসেরও নেই, কঠোর বিধিনিষেধেরও নেই। তাই, সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ রাখার পরও লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে ‘দ্যাশের বাড়িতে’ ঈদ করেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের, নিম্নবিত্তের এবং শ্রমজীবী মানুষ সীমাহীন কষ্ট করে ‘দ্যাশের বাড়িতে’ ফিরে গেছে ঈদ করতে। কেননা, এ লোহা-লক্কড়ের, দালানকোঠা ও ঝকঝকে ঢাকা শহর এসব নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য এখনো ‘দেশ’ হয়ে ওঠেনি। তাই, তারা ‘দেশ’ ছেড়ে ‘দ্যাশে’ যায়।


এবার যেহেতু করোনার চোখ রাঙানি নেই, কঠোর বিধিনিষেধ নেই এবং খানিকটা রুদ্ধশ্বাসমুক্ত স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে, সেহেতু এবার প্রচুর মানুষ গ্রামের বাড়িতে, ‘দ্যাশের বাড়িতে’ ঈদ করতে যাবে, সেটাই স্বাভাবিক। গত দুুইবার যারা যেতে পারেনি, তারাও যাবে ‘দ্যাশের বাড়িতে’ বাবা-মা আর পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে। বিশেষ করে শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণি করোনার ভয়ে এবং যাত্রা-কষ্টের আতঙ্কে গত দুই বছর নগরে ঈদ পালন করলেও এবার কোনোভাবেই নিজেকে নগরে আটকে রাখবে না। নিজের সন্তান-সন্ততিকে নিয়ে যাবে নিজের গ্রামের বাড়িতে বাস করা বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করার জন্য। দাদা-দাদি বা নানা-নানির সঙ্গে নাতি-নাতনির ঈদ যেন ভালোবাসা আর আবেগের এক স্বর্গীয় অপূর্ব মিলনমেলা। ফলে, এবার যে মানুষের ঢল নামছে ঈদযাত্রায় সেটা সহজেই অনুমেয়। তাছাড়া, ঈদকে মাঝখানে রেখে আগে-পিছে একটু হিসাব-নিকাশ করে নিলে, দেখা যাচ্ছে প্রায় ৯/১০ দিন ছুটি। ফলে, ঈদযাত্রায় এটাও একটা বাড়তি প্রণোদনা জোগাবে নিঃসন্দেহে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও