বেসরকারি ২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির আলটিমেটাম

যুগান্তর প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৫৩

দেশের ২৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে চতুর্থদফা আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভাড়া বাড়ি থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে অস্থায়ী ক্যাম্পাস অবৈধ ঘোষণা করা হবে ।


২৭ মার্চ ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত সভায় আলটিমেটাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিদ্ধান্তের কথা রোববার জানানো হয়েছে। সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, অথচ স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পুরোপুরি স্থানান্তরিত করেনি-এমন ২৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে গত নভেম্বরে ৩ থেকে ৫ দিনের সময় দিয়ে শোকজ করা হয়েছিল। ওই শোকজের জবাব পর্যালোচনার পরই এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।


আইন লঙ্ঘন করে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গত এক যুগে দেওয়া এটি চতুর্থ আলটিমেটাম। সর্বশেষ তৃতীয়দফার আলটিমেটামে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন বলা হয়েছিল-নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ভর্তি বন্ধের কথা ছিল। কিন্তু ওই আলটিমেটাম উপেক্ষিত হয়েছে। এর বিপরীতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি ৪ বছরে কোনো মিটিং পর্যন্ত হয়নি। অবশ্য ইউজিসি একাধিক দফায় বিষয়টি অবহিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।


সংশ্লিষ্টদের দাবি, এর নেপথ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পার করে দেওয়ার বিষয় থাকতে পারে। চট্টগ্রামের ওই প্রতিষ্ঠানের একাধিক ক্যাম্পাস আছে। সবকটিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসের মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে ইউজিসির ওপর দীর্ঘদিন চাপ ছিল। কিন্তু আইনে অখণ্ড জমিতে ক্যাম্পাস থাকার বাধ্যবাধকতা আছে। ইউজিসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা আইনের দিকটি উল্লেখ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপারিশ করতে অপারগতা প্রকাশ করে আসছিল। এজন্য দুই কর্মকর্তাকে ইউজিসির সংশ্লিষ্ট দপ্তর পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশ পূর্ণ হয়েছে। এরপরই এই নতুন আলটিমেটাম এলো কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও