মমিনুলের পর অধিনায়ক কে?
ক্রিকেট মাঠে ব্যর্থতার বেশির ভাগ দায় বর্তায় অধিনায়কের কাঁধে। আর সেই অধিনায়ক যদি নিজেও ব্যর্থতার প্রতিমূর্তি হন, তবে তো কথাই নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর মমিনুল হকের মাথার দাম তাই ভীষণ সস্তা! জনতার কাছে মাউন্ট মঙ্গানুই সুদূর অতীত, ডারবান এবং পোর্ট এলিজাবেথই এখন সব। যেখানে চার ইনিংসে একবারও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি মমিনুল, শেষ ইনিংসে তো যাচ্ছেতাইভাবে আউট হয়েছেন। অতএব জনপ্রিয় রায়—এখনই অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক তাঁকে।
ধরে যাক, জনতার রায় মেনে মমিনুল হককে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু টেস্টে তো একজন অধিনায়ক মনোনীত করতে হবে বোর্ডকে। সেই তিনি কে হতে পারেন?
অধিনায়কত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম যোগ্যতা একাদশে প্রার্থীর প্রয়োজনীয়তা। এই বিবেচনায় একটি নাম সবার আগে আসে, সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনি কি টেস্ট অধিনায়কত্ব নেবেন? মনে হয় না। ব্যক্তিগত জীবনে এত বেশি কমিটমেন্ট আছে যে এখন টেস্ট অধিনায়কত্ব করার অবস্থায় নেই সাকিব। টেস্ট ম্যাচও খেলেন বেছে বেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় একাধিক বোর্ড কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালেও সাকিবকে টেস্ট অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
এরপর চলে আসে তামিম ইকবালের নাম। ওয়ানডে অধিনায়কত্ব যখন করছেন, তখন লাল বলেও তাঁকে নেতা বানানো যায়। টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও টেস্টে অরুচি নেই বাঁহাতি ওপেনারের। কিন্তু আপাতত তাঁর নামটিও কাটা পড়ছে। আসলে এমন চিন্তা তামিম নিজেই করছেন না। উল্টো ঘনিষ্ঠ মহলে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া নিয়েই নাকি আলোচনা করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের এই প্রান্তে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটকে দুহাতে উপভোগ করতে চান তামিম। তা ছাড়া অধিনায়কত্বের প্রতি দুর্নিবার কোনো আকর্ষণ যে নেই, সেটি তিনি বহুবার বলেছেনও। ধরে নেওয়া যায়, বোর্ড এ রকম কিছু ভাবলেও তাতে সায় দেবেন না তামিম।