গ্রাহকের ৪৮৫ কোটি টাকা দ্রুত মিলছে না

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৯:১০

‘ব্যবসায় করোনার ধাক্কা সামাল দিতে ধার দেনা কইরা ধামাকায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা ঢালছিলাম। লাভ কিছু পাইলাম না। আসল টাকাটাও পাইতেছি না। এখন আমার মরার অবস্থা।’ বলছিলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের গ্রাহক সালেহ আহমেদ। গত জুলাইয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার পর কয়েক ধাপে ধামাকা শপিংয়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন তিনি। বিনিময়ে কোনো পণ্য পাননি। আটকে আছে টাকাও।


সালেহ আহমেদের মতো হাজার হাজার গ্রাহক পণ্য নিতে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে পণ্য তো পাননি, টাকাও ফেরত পাননি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, পেমেন্ট গেটওয়েতে ৪০ হাজার ই কমার্স গ্রাহকের প্রায় ৪৮৫ কোটি টাকা আটকে আছে। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স পরিচালনার নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, বিক্রেতা কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ে পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে মূল্য পরিশোধের সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে ক্রেতার পরিশোধিত সম্পূর্ণ অর্থ যে মাধ্যমে ক্রেতা অর্থ পরিশোধ করেছেন, সেই একই মাধ্যমে ফেরত দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের পর ১০ দিন তো দুরস্ত ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না অনেকেই।


পেমেন্ট গেটওয়ের সূত্রগুলো বলছেন, তাঁরা চলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা মেনে। ফলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাঁদের আসলে তেমন কিছু করার নেই। তাঁরা আরও বলছেন, গ্রাহকের টাকা এভাবে (১০ দিনের মধ্যে) ফেরত দিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবকাঠামোর পাশাপাশি নির্দেশিকা প্রয়োজন। এই অবকাঠামো তৈরি হলেই গ্রাহকের টাকা সেবে ই কমার্স গ্রাহকেরা শিগগির তাদের আটকে যাওয়া টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।


বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্য কিনতে গ্রাহকের বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে ২৫টি ই-কমার্সের ৫৫৯ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ৩০৪ টাকা জমা ছিল। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী পণ্য না পেলে টাকা পরিশোধের ১০ দিনের মধ্যে সেটা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ফেরত যাওয়ার কথা।


বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ২৪ জানুয়ারি বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করে। এরপর গত ৮০ দিনে ১১টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মোট ৭৪ কোটি ৮০ লাখ ২৫ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৯ জন গ্রাহক। সে হিসাবে বাকি ৪৮৪ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ফেরত দিতে অন্তত বছর খানিক লাগার কথা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও