ক্লাব ক্রিকেটে ক্লান্তি আসে না

সমকাল প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১১:২০

বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে খুব চর্চিত বিষয় ‘ক্যারিয়ার বেশি দিনের না, ফর্ম থাকতে কামিয়ে নাও।’ জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমের সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকেই এই সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিতি হন ক্রিকেটাররা। সিনিয়রাই শিখিয়ে পড়িয়ে নেন তরুণদের। দেশের ক্রিকেটের এই ‘ধ্বংসাত্মক সংস্কৃতি’ প্রবাহিত হচ্ছে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের কাছে। তাই পেশাদারিত্বের মোড়কে ক্রিকেটাররাও ম্যাচ খেলেন নানা লাভ-ক্ষতির হিসাব করে।


আর্থিকভাবে লাভজনক ম্যাচগুলোই বেছে নেন তারা। তারকাদের জন্য ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) তেমনই লাভজনক একটি ক্রিকেট মঞ্চ। মুমিনুল হক, লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল হাসান জয়রা তাই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেই লিগের ম্যাচ খেলতে নেমে পড়েন। কাল থেকে সুপার লিগের ম্যাচ খেলবেন জাতীয় দলের আরও তারকা।


অথচ জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) বা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) ম্যাচ হলে হয়তো বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কাছে ছুটি চেয়ে আবেদন করতেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই। কারণ জাতীয় লিগ তারকা ক্রিকেটারদের কাছে আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। রোদে পুড়ে চার দিনের ম্যাচ খেলে পাওয়া যায় মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। জাতীয় লিগের ম্যাচ তারকাশূন্য থাকে বছরের পর বছর।


ডিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগের দশম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচ ছিল ১৪ ও ১৫ এপ্রিল। শেষ রাউন্ডে শেষ দিনে ম্যাচ ছিল তিন বড় দল আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক ও শেখ জামালের। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেই তাই মাঠে নেমে পড়েন আবাহনীর লিটন আর জয়। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল প্রাইম ব্যাংকে আর নুরুল হাসান সোহান খেলেন শেখ জামালে।


বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে যোগ দিলেও একাদশে ছিলেন না। মোহামেডান সুপার লিগে উন্নীত না হওয়ায় শেখ জামালে নাম খেলান মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কাল থেকে অনুষ্ঠেয় সুপার লিগে খেলবেন তারা। মিরাজকে প্রথম থেকে পাওয়া গেলেও মুশফিক খেলবেন ২১ এপ্রিল থেকে। বিমান থেকে নেমেই লিগে ম্যাচ খেলতে নেমে যাওয়ায় বিস্মিত নন সাবেক ক্রিকেটাররা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও