বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ

জাগো নিউজ ২৪ জাফর ওয়াজেদ প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১০:০৯

বাঙালি জাতির উত্থান, বিকাশ, মুক্তি ও স্বাধীনতার এক মাহেন্দ্রক্ষণে রক্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছিল সহস্র বছরের সাধনা শেষে বাঙালি জাতির রাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। সেই রাষ্ট্রকে দখলদার হানাদার মুক্ত করে স্বাধীন গৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা গঠন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।


বাঙালি জাতির জীবনে প্রথম নির্বাচিত সরকার। ’৭১ সালে বাঙালি জাতি তার আপন ভাগ্য গড়ার জন্য রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে নেমেছিল। সেই লড়াই পরিচালনা করেছিলেন বাঙালির প্রথম সরকার। মুজিবনগরে গঠিত হয় বলে এই সরকারকে মুজিবনগর সরকার বলে অভিহিত করা হয়। একই সঙ্গে প্রবাসী সরকারও বলা হতো। কিংবা অস্থায়ী সরকারও ডাকা হতো। তবে ভিত্তিগতভাবে সরকারটি ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।


 ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মুজিবনগরে বাঙালি জাতির আনুষ্ঠানিক জন্ম হলো। সহস্র বছর ধরে নিষ্পেষিত, শোষিত, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, ঘুমন্ত, হতাশগ্রস্ত বিচ্ছিন্ন একটি জাতিকে একটি দণ্ডে একাত্ম করে বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিলেন। আর পশ্চাৎপদ জাতিকে জাগ্রত করে সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের কঠিন সংগ্রামে জয়ী হওয়ার প্রেরণাদাতা হলেন। 


৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালে ছিল বাঙালি জাতির জীবনের সর্বোচ্চ উত্থানপর্ব। সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। সারাদেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার দাবি সোচ্চার হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে বাংলাদেশের মানুষ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে।


৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে জনগণকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অসহযোগ আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রশাসন পরিচালিত হতে থাকে। দেশের মানুষ একটি দণ্ডে এসে সেদিন একাত্ম হয়েছিল।


সারা বিশ্ববাসী এ অসহযোগ আন্দোলনে জনউত্থান দেখে স্তম্ভিত শুধু নয়, অভিবাদনও জানিয়েছিলেন সে সময়। একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনে কেবল সেনা ছাউনি ছাড়া বাংলাদেশের সর্বত্র কার্যকর হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ। বাঙালি তরুণ-তরুণীরা সেদিন সশস্ত্র প্রশিক্ষণে নেমেছিল। রাজপথ জনপদ থেকে গ্রামবাংলা মিছিলের পদভারে কম্পিত হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি শাসকরা প্রতারণামূলক আলোচনায় সময়ক্ষেপণ করে এবং শক্তিসঞ্চয় করে।


ইয়াহিয়া খান তার সশস্ত্র বাহিনীকে লেলিয়ে দেয় বিশ্ব ইতিহাসের ঘৃণ্যতম অধ্যায় সংযোজনে। তারা ২৫ মার্চ রাতে বাঙালি নিধনে গণহত্যা শুরু করে। গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়ারলেসে পাঠিয়ে দেন। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করার পর সারাদেশে মানুষ অসম প্রতিরোধ যুদ্ধে এগিয়ে আসে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও