ব্যক্তি পুলিশের অপরাধ প্রশ্নের মুখে বাহিনী

সমকাল প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ০৯:২৫

নববর্ষের দিনে কুমিল্লা নগরীর এক পার্কে বসে চুটিয়ে গল্প করছিল প্রেমিক যুগল। দু'জনার একান্ত আলাপচারিতা দূর থেকে মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকেন ডিবি পুলিশের দুই কনস্টেবল নজরুল ইসলাম ও রোমান হাবিব। পরে প্রেমিক যুগলের পরিচয় জানতে চেয়ে করেন একের পর এক আপত্তিকর প্রশ্ন। পুলিশের দুই সদস্য ভিডিওটি ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই অকাজের দায়ে কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশের ওই দুই সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।


সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক প্রতারণা, ছিনতাই, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, ধর্ষণচেষ্টা, নারীর প্রতি অসম্মানজনক আচরণের মতো অপরাধে জড়াচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। ব্যক্তি পুলিশের অকাজে দাগ পড়ছে বাহিনীতে। আইনের মানুষের এমন নৈতিক স্খলনে বিব্রত বাহিনীর নীতিনির্ধারকরাও।


গত বৃহস্পতিবার ১১ বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ফেনীতে গ্রেপ্তার হন কনস্টেবল মোহাম্মদ ইউনুস। সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল আবদুল হাকিম নিজের নাম ফাটাতে জোচ্চুরির আশ্রয় নেন। সংগ্রাম করে লেখাপড়া চালিয়ে কনস্টেবল থেকে বিএসএস পরীক্ষার মাধ্যমে এএসপি হওয়ার গল্পের কুশীলব হয়ে যান নিজেই। দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে চমকপ্রদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে বেরিয়ে আসে, তার এএসপি হওয়ার ঘটনা পুরোটাই নাটক। এর পর থেকে আবদুল হাকিম নিখোঁজ। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।


সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশকে সবচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে টিপকাণ্ড। ২ এপ্রিল রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমদ্দার। তার অভিযোগ ছিল, "হেঁটে কলেজে যাওয়ার সময় পাশ থেকে দাড়িওয়ালা মধ্যবয়সী একজন 'টিপ পরছস কেন' বলে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির শরীরে ছিল পুলিশের পোশাক। ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়ে বাইক তুলে দেন ওই ব্যক্তি।" পরে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনার দু'দিন পর ৪ এপ্রিল তেজগাঁও থানা পুলিশ অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেককে শনাক্ত করে। এ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির কাছেও মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন নাজমুল।


পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর গড়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এ রকম বিভিন্ন অভিযোগ আসে। গড়ে প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্যের নানা মাত্রিক অনিয়মের সাজা হয়। এদের একটি বড় অংশ পায় লঘু দণ্ড, কেউ কেউ পান গুরু দণ্ড।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও