রাষ্ট্রকে চেনার উপায়

ডেইলি স্টার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২২, ২৩:১১

রাষ্ট্রের মতো কারাগারও একটি অমীমাংসায় দ্বন্দ্বের মুখচ্ছবি। দ্বন্দ্বটা রাষ্ট্রের সঙ্গে অপরাধের। অপরাধ মাত্রই একটি কার্য বটে, কিন্তু কারণ না থাকলে কার্য তো ঘটে না। রাষ্ট্রের পক্ষে তাই দ্বন্দ্বে লিপ্ত হওয়ার কথা উভয়ের সঙ্গেই—যেমন কার্যের, তেমনি কারণের।


রাষ্ট্র বলে, সমাজে অপরাধ থাকবে না, সব অপরাধ নির্মূল করা হবে। তার অর্থ নিশ্চয়ই এই যে, কার্য থাকবে না, কারণও থাকবে না। তবে, কর্মক্ষেত্রে দেখা যায়, রাষ্ট্র ব্যস্ত শুধু অপরাধের ঘটনা নিয়ে। অপরাধীদের ধরে আনে, শাস্তি দেয়। কল্লাই কাটতে চায়, বিকল্পে জেলে ফেলে রাখে। কিন্তু পেছনের কারণটা দেখে না, কিংবা দেখতে চায় না।


বরং বলা যাবে, রাষ্ট্রের কর্তারাই কেউ কেউ অপরাধ দেখলে দুঃখিত না হয়ে খুশিই হন। একাংশ তো অবশ্যই। সেই অংশে যে অংশ অপরাধ নিবারণের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ কি করবে যদি চোর না থাকে? আদালতপাড়ায় যাদের সরব ও সদর্প আনাগোনা, উকিল, পেশকার, টাউট, তাদের পেশা ও ব্যবসায়ের কী হবে অপরাধ যদি দূর হয়ে যায় সমাজ থেকে?


মামলা-মোকদ্দমা নেই, ঘুষ উঠে গেছে, তদবির অপ্রয়োজনীয় এবং কারাগার পরিণত হয়েছে অতীতের স্মৃতিতে—এমন অবস্থা মোটেই সুখকর হবে না অপরাধ দমন ও শাস্তি বিধানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের জন্য। বেকার হওয়ার আশঙ্কা। তারা চান এবং চাইবেন অপরাধ থাকুক, বাড়তে থাকুক। কেননা বৃদ্ধিতেই তাদের সমৃদ্ধি। ভাব করে বিরক্তির, আসলে হন প্রসন্ন। অনেক সময় নিজের অজান্তে। স্বার্থ বড়ই কঠিন নিয়ামক, বিবেকহীন।


অপরাধের শাস্তি দাও, অপরাধীকে করুণা করো। এই বাণী ধর্মগ্রন্থে আছে, সমাজেও প্রতিনিয়ত পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে ব্যবস্থা ভিন্ন রকম। সমাজে মানুষ অপরাধীকেই ধরে এবং পারলে মারে। রাষ্ট্রও ওই একই কাজ করে। ধরে শাস্তি দেয়, কারাগারে পাঠায়।


প্রশ্ন থেকে যায়, অপরাধ এবং অপরাধীকে কি আলাদা করা সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব বৈকি। অপরাধ ও অপরাধীর সম্পর্কটা নর্তক ও নৃত্যের মতো সম্পর্ক নয়। অপরাধীর পেছনে কার্যকারণ অনুসন্ধান করলে অপরাধের কারণ দেখা যাবে এবং অপরাধের শাস্তি দেওয়া বলতে যা বোঝায় তা আসলে ওই কারণকে নির্মূল করা ছাড়া অন্য কিছু নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও