ট্রাম্প ইমরান ব্যর্থ, কিন্তু আমরা সফল

প্রথম আলো রুমিন ফারহানা প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৩৭

প্রতিষ্ঠান কেন জরুরি? একটি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অন্যতম শর্ত কেন স্বাধীন শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান? নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কতটুকু? একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর মূল ভিত্তি ‘সেপারেশন অব পাওয়ার’ কী করে নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে দেখে আসা যাক কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে কী হয়েছিল।


ডোনাল্ড ট্রাম্প


২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এসে যুক্তরাষ্ট্রের খোলনলচে পাল্টে ফেলবেন তার জনতুষ্টিবাদী ডানপন্থী আদর্শ ‘ট্রাম্পিজম’ দিয়ে—এমন আশঙ্কা করেছিলেন কেউ কেউ। বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে খুব লক্ষণীয় পরিবর্তন করতে পারলেও অভ্যন্তরীণ নীতির ক্ষেত্রে মোটাদাগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত মূল্যবোধের চেয়ে খুব আলাদা কিছু করতে পারেননি তিনি। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ প্রতিষ্ঠার অনিবার্য শর্ত, অভিবাসনবিরোধী কঠোর আইন তৈরিতে কিংবা গণবিরোধী নানা আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে কখনো তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট, আবার কখনো কংগ্রেস। এখানেই ক্ষমতার চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের মজা। যে কেউ চাইলেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারে না।


ট্রাম্পের দিক থেকে সবচেয়ে বড় সংকট তৈরির চেষ্টা হয় যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচনের পর। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে যে প্রশ্ন কখনো ওঠেনি, সেই প্রশ্নই তৈরি হয়—যুক্তরাষ্ট্রে কি তবে ক্ষমতার স্বাভাবিক হস্তান্তর হবে না? নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছিল ট্রাম্প দফায় দফায় বলছিলেন, ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে কারচুপি করবেন এবং সেটার মাধ্যমে তাঁকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হবে, আর তেমন কিছু হলে সেটার বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।এরপর নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করতে কিংবা নিজের পক্ষে আনতে নানাভাবে চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাঁর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।


ইমরান খান


৮ মার্চ ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো এক জোট হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর ইমরান খানের সরকার টিকে যাওয়া নিয়ে যতটুকু সম্ভাবনাও ছিল সেটুকুও শেষ হয়ে যায় যখন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শরিক মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়। ইমরান পদত্যাগ করলেই হয়তো সব কূল রক্ষা হতো। কিন্তু তিনি সেটা না করে এমন এক কাজ করলেন যেটাকে প্রাথমিকভাবে অনেকে তুলনা করেছিলেন ক্রিকেটের রিভার্স সুইং কিংবা গুগলি বলের সঙ্গে।


সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবটি ডেপুটি স্পিকার যখন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল করে দেন এবং ইমরানের আহ্বানে প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন তখন ইমরান নিশ্চয়ই ভাবছিলেন সবকিছু তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। সংসদে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দল তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছিল এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা সর্বোচ্চ আদালতে যাবে। মজার ব্যাপার বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, বরং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই ব্যাপারে শুনানির সিদ্ধান্ত জানান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও