ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ: উদ্বেগ ও আশাবাদ

www.ajkerpatrika.com ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবু তাহের খান প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২২, ১১:০৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট প্রগতিশীল চিন্তাবিদ গোলাম মোহাম্মদ ফারুক। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ মিঞার বক্তব্য থেকে এ মর্মে তিনি উদ্ধৃত করেছেন যে ‘বাঙালির নিজেকে শাসন করার ইতিহাস সুখের নয়।’ অতঃপর গোলাম ফারুক লিখেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সকল ইতিহাসকে মিথ্যা প্রমাণিত করে বাঙালি জাতির হাতে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র তুলে দিয়ে গেছেন।’ এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তিনি যে ইঙ্গিত করেছেন, তার সারমর্ম হচ্ছে: তাহলে কি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে ম্লান করে দিয়ে অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ মিঞার মন্তব্যই শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সঠিক বলে প্রমাণিত হলো? আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও কি তাহলে স্বাধীনতা-উত্তরকালে সুখকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পরিচালনা করা গেল না, বিশেষ করে ১৯৯০-উত্তর ৩০ বছর ধরে?


১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে অসামান্য সাহস ও আশাবাদ বুকে নিয়ে স্বাধীন দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, রাজনীতিক ইত্যাদি নানা শ্রেণিপেশার মহান সব মানুষেরা এসে তাঁদের আবেগ, সমর্থন ও অঙ্গীকার নিয়ে মহিরুহ এ প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়ান। ১৬ ডিসেম্বরের (১৯৭২) পর মাত্র দুই মাসের কম সময়ের ব্যবধানে এডওয়ার্ড এম কেনেডি ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কলাভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বললেন, ‘আই এম প্রাউড টু স্ট্যান্ড হিয়ার অ্যাট ঢাকা ইউনিভার্সিটি, লং দ্য সিম্বল অ্যান্ড ফোকাস অব দ্য বেঙ্গলি স্ট্রাগল ফর সেলফ-ডিটারমিনেশন, অ্যান্ড দ্য ফার্স্ট টার্গেট অব দৌজ হু হ্যাভ সওট টু রিপ্রেস দ্যাট ফ্রিডম।’ (মর্নিং নিউজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)


মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত সতেজ স্মৃতি মস্তিষ্কে প্রোথিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সেদিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রতিষ্ঠানটিকে পূর্ণ শক্তিতে দাঁড় করানোর জন্য নিজেরাই শুধু উঠেপড়ে লাগেননি, পরম মমতায় তাঁর শিক্ষার্থীদেরও এর সঙ্গে যুক্ত করেন। আর সে ক্ষেত্রে নেপথ্যে থেকে তাঁদের শক্তি জোগান ১৯৭১-এর শহীদ শিক্ষকেরা। নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও প্রতিটি বিভাগের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে তাঁরা সেদিন এমনই অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ঢেলে সাজাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে আজ ভাবতেও অবাক লাগে কীভাবে এত বড় ও কঠিন কাজগুলো সর্বোচ্চ গুণগত মান রক্ষা করে এতটা অবলীলায় সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছিল! ওই সমস্যাসংকুল সীমাবদ্ধ পরিবেশের মধ্যেই আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন, বিদেশের খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান শিক্ষক-পণ্ডিতদের ক্লাসে ও অন্যত্র বক্তৃতা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো, উঁচুমানের গবেষণাকাজ হাতে নেওয়া, স্বাধীন দেশের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজানো, উন্নতমানের গবেষণা প্রবন্ধসংবলিত জার্নাল প্রকাশ ইত্যাদি কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছিলেন। কিন্তু এর চেয়ে বহুগুণ বেশি সুযোগ-সুবিধা এবং আর্থিক ও অবকাঠামোগত সমর্থন নিয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ এ কাজগুলো সে মাত্রায় করতে পারছে না কেন?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও