কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রপ্তানি না করেও ৩৩ কোটি টাকার প্রণোদনা লোপাট

www.ajkerpatrika.com চট্টগ্রাম বন্দর প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২২, ১০:২৬

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি না করে চার বছরে সাড়ে ৩৩ কোটি টাকা প্রণোদনা আত্মসাৎ করেছে নামসর্বস্ব ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এ প্রক্রিয়ায় রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, বেসরকারি ডিপো, কাস্টমস কর্মকর্তা ও তিনটি ভুয়া শিপিং এজেন্ট জড়িত বলে কাস্টমসের গোয়েন্দা শাখার তদন্তে উঠে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. শরফুদ্দিন। তিনি জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এদের ব্যাপারে আরও তদন্ত হচ্ছে, শুনানি হচ্ছে, পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতিও চলছে।


রাজধানীর বিজয়নগর এলাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডো এম্পেক্স ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অ্যাগ্রো প্রসেসিং ফুড ঘোষণায় কাস্টমসে ৪৫টি বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করে। এর মধ্যে ৩০টি চালানের পণ্য রপ্তানি না করে সরকারের আর্থিক প্রণোদনা আত্মসাৎ করেছে—এমন অভিযোগে ডো এম্পেক্সের ৪৫টি রপ্তানি পণ্য চালানের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।


৩০টি পণ্য চালানে ৪ কোটি ২১ লাখ ৭২ হাজার টাকা রপ্তানি প্রণোদনা আত্মসাৎ করে ডো এম্পেক্স। চালানগুলোতে ২৫ লাখ ৩২০ ইউএস ডলার বা ২১ কোটি ৭৫ লাখ ২৭ হাজার ৮৪০ টাকা (প্রতি ডলার ৮৭ টাকা হিসাবে) পণ্য রপ্তানি দেখানো হয়। এ রপ্তানিকারকের সঙ্গে ৫টি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ৩টি শিপিং এজেন্ট/ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট এবং শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় কিছু কাস্টমস কর্মকর্তার পারস্পরিক যোগসাজশের প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।


শুধু ডো এম্পেক্সই নয়, ফুড স্টাফ জাতীয় খাদ্যপণ্য এবং ফ্রেশ পটেটোর ৮৭২টি চালানে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন জালিয়াতির প্রমাণ পায় কাস্টমস সূত্র। এসব চালানে প্রতিষ্ঠানগুলো ৩৩ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৪ টাকা সরকারি রপ্তানি প্রণোদনা আত্মসাৎ করেছে। প্রতি ডলার ৮৭ টাকা হিসাবে রপ্তানি প্রণোদনা আত্মসাতের পরিমাণ ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৭৩ ডলার। এসব চালানে ২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ২৯ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি দেখানো হয়। ৮৭২টি চালানের মধ্যে ১৯১টি ফ্রেশ পটেটো এবং বাকি ৬৮১টি ফুড স্টাফ পণ্য দেখানো হয়েছে।


রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করতে সরকার বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যে ৩৭টি খাতে নগদ প্রণোদনা দিয়েছে। এর মধ্যে কৃষিপণ্যের আওতায় অ্যাগ্রো প্রসেস ফুড, শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানিতে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র পণ্য রপ্তানি না করেও জালিয়াতির মাধ্যমে আর্থিক প্রণোদনা হাতিয়ে নেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও