কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মানবিক সম্পর্কগুলো মন্দের দিকে

দেশ রূপান্তর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২২, ১৭:৪৩

বিদ্যমান নির্মম পুঁজিবাদী ব্যবস্থাটা মানুষকে ঠেলতে ঠেলতে এখন এমন জায়গাতে নিয়ে গেছে যেখানে সে নিজের স্বার্থটা ছাড়া অন্যকিছু আর দেখতে পায় না। কিছু পুরনো ঘটনা দেখা যাক। নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর পদে ভোটের লড়াইয়ে [ইত্তেফাক, ২২-১২-২১] স্বামী-স্ত্রী যদি পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হন তাতে অস্বাভাবিকতা আছে বলে মনে হয় না। ওই একই পত্রিকায় একদিন আগের খবরটা কিছুটা উন্নত স্তরের : সম্পত্তির জন্য বড় ভাইকে ছোট ভাইরা পাগল সাজিয়ে ৮ বছর ধরে শিকলবন্দি করে রেখেছিল, কর্তৃপক্ষের লোকেরা এসে শেষ পর্যন্ত তাকে মুক্ত করেছে। কয়েকদিন পরের আরও মারাত্মক খবর, জমি নিয়ে বিরোধে জিততে আখাউড়ায় মা’কে খুন করেছে ছেলে। আর বিস্তর আলোড়ন-সৃষ্টি-করে অবশেষে-পদত্যাগকারী প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারমূলক গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তো আছেই। অন্যরা তা করেছেন, ভদ্রলোকের স্ত্রীও করেছেন। স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে তিনি তাড়া করেছিলেন, যার ফলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এমন অভিযোগ এনে স্ত্রী থানায় এজাহার দিয়েছেন। ঘটনাগুলোকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন মনে হতে পারে, কিন্তু আসলে মোটেই তা নয়, এরা সবাই একটি বড় ঘটনারই নানাবিধ প্রকাশ বটে, আর ওই ঘটনাটি হলো এই যে গোটা ব্যবস্থাটাই এখন মারাত্মক রকমের ব্যাধিগ্রস্ত। এবং ব্যবস্থাটা হচ্ছে পুঁজিবাদী।


এই ব্যবস্থায় মানুষ নিরাপদে নেই। ঘরেই নেই; রাস্তাঘাটে থাকবে কী করে? প্রতিদিন সড়কে মানুষ মারা যাচ্ছে। মারা যাচ্ছে না বলে বলা যায় মারা পড়ছে; আরও যথার্থ হবে বললে যে মানুষ মারা হচ্ছে। গত এক বছরে সড়কে নিহত হয়েছেন নাকি ৬,২৮৪ জন [প্রথম আলো, ০৯-০১-২২]। এই মাত্র সেদিন একই পরিবারের পাঁচ ভাই এক সঙ্গে নিহত হয়েছেন চট্টগ্রামে। রাস্তা পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা; একটি মাইক্রোবাস দুরন্ত বেগে ছুটে এসে পিষে ফেলে তাদের হত্যা করল; তাদের এক বোনও আহত হয়েছেন গুরুতর ভাবে। আরও এক ভাই মারা গেলেন কয়েকদিন পরে। তিনিও আহত হয়েছিলেন। এরা সবাই তাদের সদ্যপ্রয়াত পিতার শ্রাদ্ধপরবর্তী পূজার অনুষ্ঠান শেষে গৃহে ফিরছিলেন। তাদের বৃদ্ধ মা শোকে একেবারে পাথর হয়ে গেছেন। চট্টগ্রামেরই ফটিকছড়িতে দুজন স্কুলছাত্রীকে হত্যা করল একটি উন্মত্ত ট্রাক, যার কথা ওপরে উল্লেখ করেছি। এই সব চালক সব সময়েই তাড়ার মধ্যে থাকেন। কখনো কখনো পুলিশ তাড়া দেয়, বাকি সময়ে তাড়া দেয় মালিকরা; কিন্তু আসল তাড়াটা আসে অদৃশ্য আরেকজনের কাছ থেকে। তার নাম টাকা। টাকাই তাড়া করে বেড়াচ্ছে সবাইকে। মালিক, চালক, পুলিশ, অব্যাহতি নেই কারোই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও