‘মুশফিক, তোমার ওই সময়ে রিভার্স সুইপ খেলা ঠিক হয়নি। লাঞ্চের তখন আর মাত্র ছয়-সাত মিনিট বাকি। দলের ওপর ফলোঅন এড়ানোর চাপ। তোমার পর আর কোনো ভালো ব্যাটসম্যানও ছিল না যে ইনিংসটাকে টেনে নেবে। অভিজ্ঞ এবং দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে তোমারই উচিত ছিল দায়িত্ব নিয়ে খেলে যাওয়া। অথচ তুমি খেললে রিভার্স সুইপ! টেস্টে এ রকম ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার কোনো মানে নেই।’
অসময়ে রিভার্স সুইপ খেলার রোগ ভালো হচ্ছে না মুশফিকুর রহিমের। তাঁর নিজেরও যেন রোগমুক্তির প্রতি আগ্রহ নেই। এবার যদি বলেকয়ে কিছু হয়। কিন্তু মুশফিককে সেটা বলবেন কে? সেন্ট জর্জেস পার্কে কাল অসময়ে ওই শট খেলে আউট হয়ে ফেরার পর দলের কেউ কি ড্রেসিংরুমে কথাগুলো বলেছেন তাঁকে? প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স—কেউ কি বলেছেন, ওই সময়ে রিভার্স সুইপ খেলে মুশফিক ভুল করেছেন?
ড্রেসিংরুমে মুশফিক যে রকম স্পর্শকাতর চরিত্র হিসেবে পরিচিত, সম্ভাব্য অগ্নিশর্মা চেহারাটা কল্পনা করে তাঁকে এ নিয়ে ঘাঁটানোর কথা নয় কারোই। অন্তত সে রকমই হয়ে এসেছে এত দিন। মুশফিকের অসময়ে রিভার্স সুইপ খেলা নিয়ে অতীতের প্রশ্নগুলোর মতো এবারেরটিও হয়তো থেকে যাবে দলীয় আলোচনার বাইরে।
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে না থাকাদের সুবিধা, তাঁদের সে আগুনে পোড়ার ভয় নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই সাবেক ক্রিকেটার অ্যাশওয়েল প্রিন্স আর নিল ম্যাকেঞ্জি যেমন। দুজনই দুই সময়ে কাজ করেছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে, দুজনই এই সিরিজের শুরু থেকে আছেন সুপার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকক্ষে এবং দুজনই এখন মুশফিক থেকে নিরাপদ দূরত্বে। ওয়ানডে সিরিজের সময় প্রিন্স-ম্যাকেঞ্জির কথায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা শোনা গেলেও কাল মুশফিকের অবিবেচকের মতো আউট হওয়া মেনে নিতে পারছেন না তাঁরাও।