কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বেশি দামে টিকা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২২, ০৯:২৩

প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশ বেশি দামে করোনার টিকা কিনেছে। বাংলাদেশ প্রতি ডোজ টিকা কিনেছে দেড় হাজার টাকার বেশি দামে। টিকাদান কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যয়ও অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে বেশি। গত ১০ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে কোভিড–১৯ টিকার অর্থায়নবিষয়ক এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।


অনুষ্ঠানে পূর্ণ দুই ডোজকে একটি ইউনিট বিবেচনায় নিয়ে টিকার দামের হিসাব দেওয়া হয়। সফল ও টেকসইভাবে করোনার টিকা দেওয়ার ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের ধারণা দিতে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশে এক বছরের বেশি সময় ধরে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে পেছনে ফেলেছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ এবং ৬৭ শতাংশকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকা দিয়েছে। ভারতে এ হার যথাক্রমে ৭০ ও ৫৯ শতাংশ। বাংলাদেশ পূর্ণ দুই ডোজ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মিয়ানমারকেও পেছনে ফেলেছে। শুধু ভুটান প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।


শুরুর দিকে টিকাদানে কিছুটা হোঁচট খেয়েছিল বাংলাদেশ। মূলত টিকাপ্রাপ্তির একক উৎস ছিল ভারত। দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৫ মার্কিন ডলার বা ৪৩০ টাকা দামে প্রতি ডোজ টিকা কেনা হচ্ছে—এ তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগ সে সময় জানিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সরকার একাধিক উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করে এবং কেনে। এতে টিকাদানে গতি আসে। যদিও এসব টিকার উৎস ও পরিমাণ বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রকাশ করলেও দাম নিয়ে কোনো তথ্য তারা জানায়নি।


কত দামে টিকা


দেশে টিকাদান শুরুর ৯ মাস পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত ওই ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আটটি দেশের টিকা কেনার ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরা হয়। এ অঞ্চলের দেশ না হওয়ায় পাকিস্তানকে ওই তালিকায় রাখা হয়নি। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ওই অনুষ্ঠানে শুরুতে বক্তব্য দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থায়ন ও সুশাসন শাখার আঞ্চলিক উপদেষ্টা ভ্যালেরিয়া ডি ওলিভেরা ক্রুজ। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ টিকাদান সফল ও টেকসই করতে নীতি সহায়তায় জন্য এ আয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন অঞ্চলের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। মূল তিনটি উপস্থাপনার একটিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের টিকা কেনা ও টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার ব্যয় নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যয়ের হিসাব তৈরি করা হয়েছে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কিছু তারতম্য হতে পারে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়।


অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের প্রতি ডোজ টিকা কেনার হিসাব উপস্থাপন করা হয়। তাতে দেখা যায়, সবচেয়ে কম দামে টিকা কিনেছে নেপাল। দেশটি প্রতি ডোজ করোনার টিকা কিনেছে বাংলাদেশি ৩৬২ টাকা দামে। বাংলাদেশের পর সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়ে টিকা কিনেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটি প্রতি ডোজ টিকা কিনেছে ১ হাজার ৫৫৯ টাকা করে। ভারত প্রতি ডোজ কিনেছে ৪৩৯ টাকা দামে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও