যেভাবে শুরু বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সাইবার অস্ত্র পেগাসাসের জন্য যুদ্ধ
ইসরাইল কীভাবে কুখ্যাত গোয়েন্দা সফটওয়্যার 'পেগাসাস'কে কূটনৈতিক কামধেনু হিসেবে কাজে লাগিয়েছে, কীভাবে এর ষোল আনা সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছে তা উঠে এসেছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। তেল আবিবের পথ ধরে খোদ ওয়াশিংটনও একই কসরত করেছে। 'পেগাসাস' কিনেছিল আমেরিকা। তবে এখন এই সফটওয়্যারকে নিষিদ্ধ করার কাজে আটঘাট বেঁধেই নেমেছে ওয়াশিংটন।
তেল আবিবভিত্তিক নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনের স্টাফ রাইটার রনেন বার্গম্যান এবং দুই দফা পুলিৎজার বিজয়ী ওয়াশিংটনের অনুসন্ধানী সাংবাদিক মার্ক ম্যাজজেনটি যৌথভাবে এ প্রতিবেদন তৈরি করেন। রনেন বার্গম্যানের সর্বশেষ বই 'রাইজ অ্যান্ড কিল: দ্যা সিক্রেট হিস্টোরি অব ইসরাইল'স টারগেটেড অ্যাসাসিনেশন' সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। আর মার্ক ম্যাজজেনটির সর্বশেষ বইয়ের নাম- 'দি ওয়ে অব নাইফ: দ্য সিআইএ, এ সিক্রেট আর্মি, অ্যান্ড আ ওয়ার অ্যাট দ্য এন্ডস অব দি আর্থ।'
২০১৯ সালের জুন মাসের একটি দিন। ইসরাইলি তিন কম্পিউটার প্রকৌশলী ঢুকলেন নিউ জার্সির এক ভবনে। মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এফবিআই ব্যবহার করে এ ভবন। ভবনটির একটি বিচ্ছিন্ন কামরার লম্বা তাকগুলোতে বসাতে শুরু করলেন তারা কয়েকটি কম্পিউটার সার্ভার। কাজের ফাঁকে ফাঁকে অনবরত ফোন করে চললেন এই তিন প্রকৌশলী। তেল আবিবের উপকণ্ঠে হারজলিয়াতে তাদের কর্তাব্যক্তিদের কাছেই ফোন করছিলেন তিন প্রকৌশলী। দুনিয়ার সবচেয়ে কুখ্যাত গোয়েন্দা সফটওয়্যার এনএনও গ্রুপের সদর দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন তারা। এভাবেই শেষ হলো বসানোর পর্ব। এবারে শুরু হলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পালা।