দুর্বল হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, চলে যাচ্ছে ডলার
পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো নয়, তবে আন্তর্জাতিক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার কারণে ভেতর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও ক্ষত তৈরি হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে দুর্বল হতে শুরু করেছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার মতো ভয়ের কারণ নেই। অবশ্য এটা তো ঠিক, পরিস্থিতি আগের চেয়ে দুর্বল হতে শুরু করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতিও আগের মতো শক্ত নয়। দেশের চলতি হিসাবে বিশাল ঘাটতি, যা শ্রীলঙ্কারও আছে। এবার যে ঘাটতি হতে যাচ্ছে, তা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। সুতরাং উদ্বেগের কিছু জায়গা তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় ডলারের বিনিময় হারে সমন্বয় দরকার ছিল, কিন্তু হয়নি। সর্বশেষ হিসাবে আমদানি বেড়েছে ৫৪ শতাংশ হারে।
এই হারে যদি আমদানি বাড়ে, তবে চলতি অর্থবছর শেষে তা ১০ হাজার কোটি ডলার হবে। এটা ভয়ানক উচ্চমাত্রার। আমাদের ৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি আমদানি ব্যয় কখনও হয়নি। এই প্রবণতা যদি আর এক বছর চলে, তাহলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতও শেষ হয়ে যাবে।
কমছে রিজার্ভ
বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪ হাজার ৪২৫ কোটি (৪৪ বিলিয়ন) ডলারে নেমে এসেছে। ছয় মাস আগেও প্রায় ৪৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় ছিল রিজার্ভ।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন (২১৬ কোটি) ডলারের রেকর্ড আমদানি বিল পরিশোধের পর গত ৬ মার্চ রিজার্ভ ৪৩ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। যা ছিল গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।