আধুনিক প্রযুক্তির পোলট্রি খামার
একাত্তরে স্বাধীনতা লাভের পর কৃষক, ক্ষুদ্র খামারিরা ঝাঁপিয়ে পড়েন দেশ গড়ার কাজে। দিনে দিনে আসে কৃষিতে বৈচিত্র্যের আহ্বান। সেজে উঠতে থাকে কৃষি। এক দিকে খাদ্যনিরাপত্তা, আরেক দিকে কর্মসংস্থান। দিনে দিনে প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হতে থাকে কৃষিতে, নানান উৎপাদনমুখী খামারে। শুরু হয় বৈচিত্র্যময় ফল-ফসলের চাষ, মাছের চাষ, মুরগি পালনসহ নানা রকম কৃষিজ কর্মকাণ্ড।
পুরোনো দিনের সব মানুষেরই নিশ্চয় মনে আছে, গ্রামের বাড়ির একটি পলোর নিচে একটি মুরগি আর তার কয়েকটি বাচ্চা। এই ছিল মুরগি পালনের চিরাচরিত দৃশ্য। সেখান থেকেই আসে ঘরে ঘরে খাঁচায় মুরগি পালনের আহ্বান। পাল্টে যেতে থাকে চিত্র। একে একে হাজার হাজার মানুষ যুক্ত হয় পোলট্রি খামারে। লাভ-লোকসানের ভেলায় দুলতে দুলতে আজ পোলট্রিশিল্প বিশাল এক খাত। এ খাতে বিনিয়োগ পৌঁছে গেছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার। আর এই শিল্পের খামারির সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩ লাখে।