চাঁদাবাজি কমলে দামও কমবে
সড়ক-মহাসড়কে পুলিশ ও কাঁচাবাজারে প্রভাবশালীদের ‘গুপ্ত’ চাঁদাবাজিকে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, সড়ক ও মহাসড়কে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি হচ্ছে। বিষয়টি অনেকটা সরকারিভাবে টোল সংগ্রহের মতো হয়ে গেছে। চাঁদাবাজি কমলে নিত্যপণ্যের দামও কমবে।
নিত্যপণ্যের মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় গতকাল শনিবার এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ঢাকার মতিঝিলে নিজেদের কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় চাঁদাবাজির প্রসঙ্গটি প্রথম উত্থাপন করেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি কাজী আবদুল হান্নান। তিনি বলেন, সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলেও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ার অন্যতম কারণ চাঁদাবাজি। এতে প্রতিটি পণ্যের দামের একটি অংশ যায় চাঁদার পেছনে। এসব যদি সামাল দেওয়া না যায়, ভোক্তা পর্যায়ে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না।
ক্যাবের এই প্রতিনিধি যখন সড়কে ও বাজারে চাঁদাবাজির কথা বলছিলেন, তখন সভায় উপস্থিত অধিকাংশ ব্যবসায়ী হাততালি দিয়ে তাঁকে সমর্থন জানান। একই সঙ্গে গুপ্ত চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে বলে কেউ কেউ স্লোগান দেন।
মতবিনিময় সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী। তিনি বলেন, রংপুর থেকে রাজধানীতে পণ্য পাঠাতে পথে পথে পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। এটি বন্ধ করতে হবে।