এদেরও ‘মদদদাতা’ আছে: টিপুর স্ত্রী
শাহজাহানপুরে আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজন হত্যাকাণ্ডের ‘পরিকল্পনায় যুক্ত’ ছিলেন বলে র্যাব জানালেও নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রীর দাবি, এদেরও মদদদাতা আছে- তাদের ধরতে হবে।
শনিবার টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যায় চারজনকে গ্রেপ্তারের এবং হত্যাকাণ্ডে তাদের ভূমিকার কথা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে র্যাব। এতে গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের ভিত্তিতে খুনের কারণ, পরিকল্পনা, ভাড়াটে খুনির জন্য অপরাধজগতের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে শুরু করে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর রাতে নিহত টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই চারজনের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বলছেন, “এরা সেরকম কোনো লেবেলের না, এদেরও লিডার আছে। ওদের ধরতে হবে।“
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিল ডলি বলেন, “আমি আগেও বলেছি শুটার কোনো বিষয় না। তাকে ভাড়া করেছে, সে টাকার জন্য গুলি করেছে।“এই যে র্যাব বলছে, পরিকল্পনা করেছে এই চারজন। এদের তো অবশ্যই মদদদাতা আছে। মদদ দিয়ে তাদের হৃষ্টপুষ্ট করছে। আপনারা এলাকায় গিয়ে কথা বললে বুঝবেন। কানা ফারুকের (ওমর ফারুক) লিডার আছে। নাসিরেরও নেতা আছে।”
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব চারজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানায়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মতিঝিল থানাধীন ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক (৫২), আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ (৩৮), নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির (৩৮) ও মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ (৫১)।
র্যাবের দাবি, এরা ওই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে যুক্ত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িয়েছে ঢাকা ও দুবাইয়ের অপরাধজগতও। টিপুকে খুন করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অপরাধজগতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন; বাজেট ছিল ১৫ লাখ।