আমাদের সিনেমা শিল্প পিছিয়ে পড়ার ইতিবৃত্ত

ডেইলি স্টার নুরুজ্জামান খান প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৫৮

দেশের সংস্কৃতি এবং শিল্পচর্চার সবগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমলাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে বিভিন্নভাবে সমালোচনা তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। সমালোচনাটা স্বাভাবিক। কেননা, এ বিষয়ে আগ্রহ ও চর্চা না থাকলেও, এসব প্রতিষ্ঠানের চিন্তা-চেতনা, কর্মকৌশল তৈরিতে প্রতিনিয়ত তাদের বিভিন্ন নীতি তৈরি করতে হয়।


এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সংস্কৃতির বিভিন্ন বিভাগে, যেমন সিনেমায় আমলারা কীভাবে প্রবেশ করলেন? এটা কি আমলাদের দোষ, নাকি সিনেমাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ না দিতে পারায় সিনেমার মানুষদের ব্যর্থতা? এর উত্তর পেতে হলে আমাদের দেশের সিনেমার ইতিহাস পর্যালোচনা করতে হবে।


যোগাযোগের এই যুগে পৃথিবীর প্রধান ও প্রথম পছন্দের ব্যবসা হচ্ছে সংস্কৃতিকে পুঁজি করে বাণিজ্য। সংস্কৃতির একটা বড় অংশ কাজ করে বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে। চলচ্চিত্র অন্যতম একটা মাধ্যম। পুরো বিশ্ব জুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজত্বের অন্যতম একটা কারণ তাদের চলচ্চিত্র। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমা পৌঁছায়নি বা তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়নি। ইন্টারনেটের কল্যাণে এর ব্যাপকতা আরো বেড়েছে।


প্রতিবেশী দেশ ভারতের কথা আমাদের সবার জানা। সেখানে বলিউড ছাড়াও রাজ্যভিত্তিক নিজস্ব সিনেমার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। রাজ্যভিত্তিক সিনেমাগুলো বলিউডের সিনেমার সঙ্গে গল্প বলা ও অর্থ উপার্জনে প্রতিযোগিতা করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের দেশে সিনেমার গৌরব, ঐতিহ্য এবং বর্ণীল ইতিহাস থাকা স্বত্ত্বেও এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ভাষা থেকে শুরু করে সংস্কৃতির অনেক মিল থাকা সত্ত্বেও কেন পিছিয়ে পড়েছে?


পিছিয়ে পড়ার কারণ বের করার আগে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের পর্যালোচনা করা উচিত। যেহেতু বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলছি, তাই ১৯৭১ হবে আমার ইতিহাস পর্যালোচনার বছর।


ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে প্রয়াত গুণী নির্মাতা ও সিনেমা ব্যক্তিত্ব আলমগির কবিরের লেখা 'ফিল্ম ইন বাংলাদেশ' (১৯৭৯) কে উদ্ধৃত করা যেতে পারে। আলমগির কবিরের লেখা ছোট বইটি শুধু সিনেমার ইতিহাসের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং রাজনীতির প্রেক্ষাপট কীভাবে সংস্কৃতি চর্চার ওপর প্রভাব ফেলে সেদিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন তিনি যখন সিনেমা সংস্কৃতি চর্চার অধঃপতন নিয়ে লিখছেন, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় ৪ নেতাসহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে সামরিক শাসন গণতন্ত্রকে গ্রাস করেছে ভয়ালভাবে। এই অপূরণীয় ক্ষতি আমরা এরপর সমাজের সর্বস্তরে দেখতে পাই। এমনকি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও সামরিক ক্ষমতার বিদ্বেষ থেকে রক্ষা পাননি। সামরিক শাসন যে সমাজের চিন্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং মানুষকে পরাধীন করে তার উদাহরণ আমাদের সমাজ হারে হারে টের পেয়েছে এবং জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে এই অন্ধকার সময়ের শুরু।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও