নেতাদের বলি, আসুন গণপরিবহনে চড়ি
আমাদের দিন শুরু হয় সকাল ছয়টায়। সকাল সাতটার সময় এক মেয়ের স্কুলের বাস ছাড়ে ধানমন্ডি থেকে। আমার স্ত্রী তাকে নামিয়ে ফিরে আসার পর সন্তানদের দ্বিতীয় লট নিয়ে আমার যাত্রা শুরু হয় সোয়া সাতটায়। তখন ফোন করলে শুনি, স্ত্রী কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে টিএসসিতে। সেখানে না পেলে শাহবাগের মোড়ে গিয়ে শুরু হয় তার অনিশ্চিত অপেক্ষা।
এটা হচ্ছে কপাল ভালোর দিন। যেদিন কোনো কারণে ড্রাইভার থাকে না, সন্তানদের দিয়ে আসতে হয় রিকশায়। সেদিন রাজপথের গাড়িগুলোকে মনে হয় দানব-অতিদানব। এই দানবদের তর্জন-গর্জনের মধ্যে এঁকেবেঁকে কোনোমতে ছোটার চেষ্টা করে রিকশা। কোলে এক শিশু, পাশে এক শিশুকে আঁকড়ে ধরে উদ্বেগাকুল হয়ে থাকি। রিকশার কখন কোন তীব্র মোচড়ে ছিটকে পড়ে সন্তান, কখন ধাক্কা খেয়ে পড়ি রাস্তায়, কোনো দিন দেরি হয়ে যায় কোথাও—দুরুদুরু বুকে দিনটা পার করতে হয় এভাবে।