বাজার দরে ক্রেতা বেজার
হাসিবুর রহমান। ব্যাংকের দারোয়ান। স্ত্রী-সন্তানসহ চারজনের পরিবার। থাকেন রাজধানীর মণিপুরিপাড়ায়। রোজা সামনে রেখে সদাই করতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজারে ঢুঁ মেরেই ভ্যাবাচ্যাকা খেলেন। সবজি, মাছ, মাংস- যেখানেই হাত দিলেন, সেখানেই আগুন! দাম শুনে পাশের এক ক্রেতার কাছে নিজের কষ্টের গল্পটা বলা শুরু করলেন। হাসিবুর বলছিলেন, 'দুই বছর ছিল করোনার টেউ। ওই সময় জিনিসপত্রের দাম খুব বেশি না বাড়লেও এবার বাজারে মনে দাগ কাটা দাম। রোজা এলেই জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ে। করোনায় চাকরি যায় যায় অবস্থা ছিল। তবে বেতন না বাড়ানোর শর্তে এখনও টিকে আছি। আমার আয় না বাড়লেও খরচা তো থেমে নেই। সংসার চালাতে এখন ঘুম হারাম। গত মাসে ব্যাংকের ডিপোজিট ভেঙেছি। তা দিয়েই এখন কোনোরকমে জীবন চলছে।'
দরজায় রোজা নাড়ছে কড়া। নিত্যপণ্যের বাজার দারুণ চড়া। সংযমের মাসটি এলেই যেন বাজারে দামের ঘোড়া হয়ে ওঠে আরও পাগলাটে! দামের চোটে হাসিবুর রহমানের মতো অনেক ক্রেতা পড়েন মানসিক চাপে। এবার রমজান মাসের দেড় থেকে দুই মাস আগেই নিত্যপণ্যের দামে লাগে 'আগুন'। এই ক'দিনে ক্রেতারা খানিকটা সয়ে নিয়েছেন আগুনদামের ধকল। অন্য সময় রোজার আগে বাজারদরের বড় ধরনের হেরফের টের পাওয়া গেলেও এবার আগেভাগে দাম বাড়ার কারণে সেই আঁচ খানিকটা কম।