কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বয়ঃসন্ধিকাল নিয়ে কুসংস্কার আর নয়

সমকাল সারমিন মতিন মিতু প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২২, ১০:১৮

আক্ষরিক অর্থে বয়ঃসন্ধিকাল বলতে যৌন পরিপকস্ফতার কারণে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনকে বোঝানো হয়। এ সময়টিকে টিনএজও বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময়টাকে কৈশোর বলে এবং এর যে কোনো সময়ে বয়ঃসন্ধিকাল আসতে পারে। এটা মূলত কৈশোর ও যৌবনের মধ্যবর্তী পর্যায়।


চিকিৎসকদের মতে, মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল ছেলেদের তুলনায় কিছুটা আগে শুরু হয়; মূলত ১০ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে আর ছেলেদের ১১ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। এ সময় ছেলেমেয়ে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে এবং উভয়ের মধ্যে প্রজনন ক্ষমতার বিকাশ হতে থাকে। মনোবিজ্ঞানীদের ভাষায়, 'এ সময়ে মানুষের মস্তিস্কে চলে ছোট থেকে বড় হওয়ার ভাঙা-গড়া বা মস্তিস্কের পুনর্গঠন। বিশেষজ্ঞরা এ কথাও বলেন, এ বয়সে শরীর আর মনের পরিবর্তনের কারণে কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের অনুভূতিকে ঠিক কন্ট্রোলে রাখতে পারে না। অনেকেরই মন চায় ঝুঁকিপূর্ণ কিছু একটা করতে।'


ইউনিসেফের সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার তিন কোটি ৬০ লাখ মানুষ ১০ থেকে ১৯
বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী; যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ। কিন্তু অত্যন্ত অনুতাপের বিষয় হলো, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি এ দেশে এখনও অবহেলিত রয়ে গেছে।


আমাদের দেশে এ সময়টি অত্যন্ত কুসংস্কারের বেড়াজালে ঘেরা। এই একুশ শতকে এসেও আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজেদের সমস্যা নিয়ে পরিবারের মা-বাবা-ভাইবোনের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারে না। হরমোনাল কারণে ছেলেমেয়েদের মধ্যে আবেগের প্রাবল্য দেখা দেয় যে কারণে মুড সুইং হয় বা মন মেজাজ দ্রুত ওঠানামা করে। তাদের মধ্যে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, রাগ-অনুরাগ ইত্যাদি অনুভূতি খুব বেশি পরিলক্ষিত হয়। নিজেদের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। আগের দিন আনন্দে থাকলে, পরের দিন অযথাই মনমরা হয়ে থাকে। তারা বড়দের দলেও পড়ে না, ছোটদের দলেও না। অদ্ভুত এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয় তাদের সময়।


মা-বাবার তুলনায় বন্ধুদের দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। কিন্তু মা-বাবারা এ ব্যাপারগুলো মেনে নিতে পারেন না। এই বয়সী ছেলেমেয়েদের নিজস্ব কিছু পছন্দ-অপছন্দ থাকে এবং মা-বাবার উচিত সেগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া। শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ফলে ছেলেমেয়েরা অসহায় বোধ করে এবং পরিবারের অন্যদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পায় না; বরং নিপীড়নমূলক আচরণের কারণে অনেক ক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। অনেক মা-বাবা সন্তানের হাতে অল্প বয়সে স্মার্টফোন তুলে দেন; কিন্তু এর ক্ষতিকর দিকটি কখনও ভেবে দেখেন না। ফলে সাইবার ক্রাইম, মাদকের নেশা, ধর্ষণ, জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও