![](https://media.priyo.com/img/500x/https://cdn.ajkerpatrica.net/contents/cache/images/720x0x1/uploads/media/2022/03/31/e3d5ef8b4c26eeedfed679b7c8bf54f3-62451a9ad8563.jpg)
প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা গুরুত্ব পাচ্ছে না
জ্বর, কোমরব্যথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বাড়ির পাশের কমিউনিটি ক্লিনিকে এসেছিলেন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার অন্বয়পুর ইউনিয়নের আনুলিয়া গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব মালা বেগম। বেলা সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখেন, ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত (প্রোভাইডার) চিকিৎসক সৈয়দ আফরোজ কল্প নেই। দুজন সহকারী সবকিছু গুটিয়ে ক্লিনিক বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এই প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে মালা বেগম খুব আক্ষেপ করে বললেন, ‘এত কষ্ট করি আইল্যাম, এহন দেখি ডাক্তার নাই। ওমন হলে গরিব মানুষ কেমনে বাঁচে বাবা?’ বৃদ্ধার কথা শুনে ক্লিনিকের সহকারী দুজন চুপচাপ। চলে যাওয়ার মুহূর্তে রোগী আসায় তাঁরা বিরক্ত। একই সঙ্গে তাঁদের মুখে অসহায়ের সুর, এখানে তো ওষুধ নেই, চিকিৎসা হবে কীভাবে?
সেখান থেকে একটু দূরে গোয়ালখালী কমিউনিটি ক্লিনিক। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক নিগার সুলতানা বললেন, ‘দেখুন, এ জায়গায় বয়স্ক ও গর্ভবতীদের আসার কোনো ব্যবস্থা নেই। বর্ষা হলে অবস্থা বেহাল। চারদিকে পানি থাকে, কেউ আসতে পারে না।’
তারপরও যাঁরা আসেন, তাঁরা কি চিকিৎসা পান? এমন প্রশ্নের জবাবে নিগার সুলতানা বলেন, ‘আমাদের কাছে যে পরিমাণ ওষুধ আসে, তাতে ২০ শতাংশ মানুষকেও সেবা দিতে পারি না। দেখতেই পাচ্ছেন, জটিল রোগের চিকিৎসা তো দূরের কথা, গর্ভবতী মায়েদের ওজন মাপার যন্ত্রটি পর্যন্ত নেই।’
চরবেষ্টিত তেওতা ইউনিয়নের ত্রিশুণ্ডি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা হলো সেখানকার কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু ক্লিনিক বলতে চরের মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি টিনের ঘর। মাসে দু-একবার খোলা হয়, বন্ধ থাকে বেশির ভাগ সময়।
কমিউনিটি ক্লিনিকের এই বেহাল অবস্থা দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নিজের জেলা মানিকগঞ্জের। দেশের অন্য জেলার চিত্র কী তা মনে হয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না।