সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যা যে বার্তা দেয়

সমকাল পাভেল পার্থ প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২২, ১৫:১০

বরেন্দ্র অঞ্চল পাতাল পানির আধার, যা অনবরত শূন্য হচ্ছে। মেশিন দিয়ে টেনে তুলে ব্যবহার হচ্ছে পাতালের পানি। ভূ-উপরিস্থ পানির আধারগুলো অনেক আগেই বিলীন হয়েছে। পাতাল পানির ওপরেই এখন টিকে আছে বরেন্দ্রর জীবন-মরণ; কৃষিকাজ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন যা ব্যবহার্য। ভূগর্ভস্থ এই পানির নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কাছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে একটু পরপর তাদের মেশিনঘর আছে। আছে পানির কল ও সেই পানি কিনে নেওয়ার ব্যবস্থা। তথাকথিত সবুজ বিপ্লবের পর যখন যন্ত্রনির্ভর পাতাল পানির সেচ চালু হলো তখন এই নয়া সেচব্যবস্থা স্থানীয় ক্ষমতা কাঠামোকে একতরফাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করল। সমাজে বিদ্যমান শ্রেণিসম্পর্ক ও বিরাজিত কাঠামোগত বৈষম্য পাতাল পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আরও পোক্ত হলো এবং কোথাও কোথাও এটি দ্বন্দ্ব-সংঘাতের নয়া মেরূকরণ উস্কে দিল। কারণ বিএমডিএর মেশিনঘর থেকে সব সময় পানি দেওয়া হয় না। প্রয়োজন ও চাহিদা মোতাবেক একটি রুটিন ও সিরিয়াল থাকে। কিন্তু দেখা যায়, এলাকা, শ্রেণি ও বর্গভেদে হরহামেশা এর ব্যত্যয় ঘটে। চাহিদা ও নিয়ম মোতাবেক সবকিছু হাজির করার পরও কিছু মানুষকে দিনের পর দিন পানির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।


পানিশূন্যতায় জমি চৌচির হয়ে যায়। চোখের সামনে রক্ত জল করা ফসল মরে যায়। বরেন্দ্রর গ্রামগুলোতে ঘুরলে এমন অভিযোগ হরহামেশাই পাওয়া যায়। বিশেষত গরিব, নারী, আদিবাসী, ভূমিহীন ও প্রান্তজনের সঙ্গে পানি সরবরাহ নিয়ে এমন বৈষম্য করা হয়। সম্প্রতি পানি বঞ্চনার এমন নির্দয় ঘটনা আবারও ঘটেছে বরেন্দ্র এলাকায়। ১২ দিন ঘুরেও পানি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই সাঁওতাল কৃষক। বাংলাদেশ যখন গর্বের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে তখনি রাজশাহীর গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমঘুটু গ্রামে ঘটেছে এমন নির্মম ঘটনা। কৃষিকাজের জন্য সেচের পানি না পেয়ে নিমঘুটু গ্রামের অভিনাথ মার্ডি ও রবি মার্ডি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। কৃষকের এই মৃত্যু আমাদের কী জানান দেয়?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও