আগামীতে মূল্যস্ফীতিই হবে অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

যুগান্তর এম এ খালেক প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২২, ১২:০২

একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বলেছেন, আগামীতে করোনা-পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা শুধু কোনো নির্দিষ্ট দেশের জন্য নয় বিশ্ব অর্থনীতির জন্যই কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামীতে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির কারণে সামাজিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে। উল্লেখ্য, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী তীব্র খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছিল। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে সৃষ্ট মন্দার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য পণ্যের জোগান সাংঘাতিকভাবে কমে গিয়েছিল। প্রায় প্রতিটি দেশেই খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। কোনো কোনো দেশে টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে খাদ্য পণ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। আফ্রিকার অনেক দেশে খাদ্য ক্রয় করতে গিয়ে ভোক্তারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল। এতে অনেকেরই প্রাণহানি ঘটেছিল। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন কমে গেছে। করোনার প্রকোপ বর্তমানে কিছুটা কমে এসেছে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়েছে। এরপর নতুন সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া যে এভাবে ইউক্রেনে সার্বিক আক্রমণ পরিচালনা করবে তা অনেকেই ভাবতেও পারেনি। রুশ বাহিনী ইউক্রেনে ঢুকে পড়ায় বিশ্ব অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যেই জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। যদিও রাশিয়া জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। জ্বালানি তেলের মূল্য এখন আগের তুলনায় কমেছে। তবে এ অবস্থা কতদিন স্থায়ী হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।


জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ও জোগান সাংঘাতিকভাবে কমে যেতে পারে। সংস্থাটি বলেছে, যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের মূল্য ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গম রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। তারা মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ১৯ শতাংশ যব, ১৪ শতাংশ গম ও ৪ শতাংশ ভুট্টার জোগান দেয়। সামগ্রিকভাবে তারা বিশ্ব খাদ্যশস্যের এক-তৃতীয়াংশ জোগান দেয়। ইউক্রেন বিশ্ব খাদ্য উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে। তারা গম রপ্তানিতে প্রথম সারিতে রয়েছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলেছে, যুদ্ধের কারণে আগামী বছর ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়ার নিশ্চিত আশঙ্কা রয়েছে। কারণ যুদ্ধের কারণে তাদের অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জমি অনাবাদি থেকে যাবে। ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পেলে বিশ্বব্যাপী পুষ্টিহীনতা বাড়বে। কারণ বিশ্বের ৫০টি দেশের আমদানিকৃত গমের ৩০ শতাংশ জোগান দেয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। যেহেতু দেশ দুটি ট্রেডিশনাল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে তাই তারা চাইলেও আগের মতো ফসলের আবাদ করতে পারবে না। এ অবস্থায় বিশ্বের পুষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা ৮০ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ৩ লাখে উন্নীত হতে পারে। এ পুষ্টিহীন মানুষের বেশিরভাগই হবে আফ্রিকা এবং এশিয়া অঞ্চলের। যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতির হার ৫ শতাংশ অতিক্রম করে গেছে, যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যুদ্ধ সহসাই বন্ধ না হলে এ মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশ অতিক্রম করে যেতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও