
সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলন মঙ্গলবার: কে আসছেন নেতৃত্বে?
স্থগিত হওয়া সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে । ৩ পদে লড়াই করবেন ৯ নেতা। ১৮টি ইউনিটের ১৮১৮ ভোটার প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন করবেন তাদের আগামীর নেতৃত্ব। তবে কারা আসছেন নতুন নেতৃত্বে সেটা ভোটারদের ভোটে প্রমাণিত হবে। সম্মেলন ঘিরে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করতে দেখা গেছে। সম্মেলনের নতুনস্থল সিলেট রেজিস্ট্রি মাঠের আশপাশ ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছড়িয়ে গেছে।
জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৬ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে আবুল কাহের শামীম সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে এই কমিটি বিলুপ্ত করে কামরুল হুদা জায়গিরদারকে আহ্বায়ক করে আরও ১৮ জনকে সদস্য রেখে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন আড়াই বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছিল জাতীয়তাবাদী দলের কার্যক্রম। জেলা বিএনপি নেতাদের মতে, করোনাসহ নানা কারণে সম্মেলন ও কাউন্সিল করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ইউনিটের সম্মেলন ও কাউন্সিল শেষ করার পর ২১ মার্চ সিলেট জেলার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
কাউন্সিল পরিচালনার লক্ষ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল গাফফারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনের করে এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মঈনুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক সামিয়া বেগম চৌধুরী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহজামাল নুরুল হুদাকে সদস্য করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে সম্মেলনের করার লক্ষ্যে কাজ করলেও অজ্ঞাত কারণে আগের দিন ২০ মার্চ হঠাৎ করে তা স্থগিত করা হয়। দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছিল, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের কর্তৃত্ব কমাতে কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আর আরিফুলের নিশ্চিত বিজয় ঠেকাতে কেন্দ্রকে দিয়ে কাউন্সিল স্থগিত করিয়েছিলেন খন্দকার মুক্তাদির।