কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘বিচার পাই না, তাই চাই না’

জাগো নিউজ ২৪ প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২২, ১০:১৪

মতিঝিল-শাহজাহানপুর এলাকার রাজনৈতিক সন্ত্রাসীরা বোধহয় হিন্দি বা তামিল সিনেমা একটু বেশিই দেখেন। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের স্টাইল দেখে আমার এমন ধারণা হয়েছে। তাদের খুনেও রয়েছে সিনেমাটিক স্টাইল। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ডের গেটে সবার সামনে খুন হয়েছিলেন মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক মিল্কী। সিসিটিভির আওতায় থাকায় সেই খুনের দৃশ্য সবাই দেখেছেন। ঈদের জমজমাট মার্কেটে সবার সামনে এমন খুনের দৃশ্য দেখলে মনে হতেই পারে পরিকল্পনাকারী সিনেমা দেখেন খুব।


মিল্কী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ছিলেন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু। মিল্কী হত্যা মামলায় তিনি কারাগারেও ছিলেন। সেই টিপুকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফিল্মি স্টাইলে হত্যা করা হয়েছে। শাহজাহানপুর এলাকায় যানজটে আটকে থাকা মাইক্রোবাসে বসে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম টিপু। হেলমেট ও মাস্ক পরা শুটার এসে একেবারে কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করে তাকে।


দেড় মিনিটের ফিল্মি স্টাইলের অভিযানে টিপুর শরীরে অন্তত ১২টি বুলেট বিদ্ধ হয়। তারমানে খুনি একদম পেশাদার, কোনো ঝুঁকিই সে নেয়নি। সবার ধারণা ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। পুলিশ এরই মধ্যে মুখোশধারী ভাড়াটে খুনি মাসুম মোহাম্মদ আকাশকে গ্রেপ্তার করেছে। মূল শুটার যেহেতু ধরা পড়েছে, পুলিশী তদন্তে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে কারা এ হত্যার পেছনে আছে।


তবে এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না, টিপু হত্যাকাণ্ড সেই পুরোনো রাজনীতি, স্বার্থ, ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে লড়াইয়েরই ফল। যেমনটি ছিল মিল্কী হত্যাকাণ্ডও। ২০১৬ সালে খুন হয়েছিলেন যুবলীগ কর্মী রিজভী হাসান বাবু ওরফে বোঁচা বাবু। আমি ঠিক নিশ্চিত নই, তদন্তে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে মিল্কী হত্যাকাণ্ড, বোঁচা বাবু হত্যাকাণ্ড টিপু হত্যাকাণ্ডে কোনো না কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে। একই রকম স্বার্থের সংঘাত সবখানে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও