কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধাপরাধী কারা?

সমকাল ইউক্রেন আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২২, ১৩:১১

আজকাল পশ্চিমা কাগজ খুললেই কেবল ইউক্রেনের কথা। যখন কোনো খবর পান না, তখন বানিয়ে খবর লিখতে তারা দ্বিধা করেন না। প্রতিটি কাগজে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে 'ওয়ার ক্রিমিনাল' বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রোজ এই প্রোপাগান্ডা চলছে, 'পুতিন ডিকটেটর', 'পুতিন নতুন হিটলার'। ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনও অমীমাংসিত। এই যুদ্ধে মার্কিন সেনারাও বেনামে জড়িত। যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের ছবি পাতার পর পাতা জুড়ে ছাপানো হয়। এভাবে যুদ্ধের বিবরণ আগে কখনও দেখিনি।


ইউক্রেনের যুদ্ধসংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশনে যে ট্যাকটিক্স গ্রহণ করা হয়েছে, তা এককালে ইরাক যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি অন্যায় যুদ্ধ। সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছিল তার কাছে মারণাস্ত্র আছে। পশ্চিমা শক্তি প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের বেডরুমে তার আসবাব পর্যন্ত সার্চ করেছে। তারা কিছুই পায়নি। তারপরও অন্যায় যুদ্ধ শুরু করে টনি ব্লেয়ার ও বুশ। টনি ব্লেয়ার সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছেন, তা-ও প্রমাণিত হয়েছে। ইরাক যুদ্ধের জন্য টনি ব্লেয়ার এবং বুশ দায়ী। তারা যখন এই অন্যায় যুদ্ধ চালাচ্ছিল, তখন সাদ্দামকে পুতিনের মতোই ফ্যাসিস্ট, হিটলার ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়েছিল। পশ্চিমা কাগজগুলো তখন এই বর্বরোচিত হামলার নিন্দা করেনি, বরং সমর্থন করেছে। এই যুদ্ধে মার্কিন ও ব্রিটিশ সৈন্যের বর্বরতায় বাগদাদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অসংখ্য নারী ও শিশু মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এসব খবর পশ্চিমা কাগজে ছিল না। পরবর্তীকালে প্রকাশ পেয়েছিল, ইরাকের এক ডিপ্লোম্যাটকে ঘুষ দিয়ে তার কন্যাকে প্রেসিডেন্ট বুশ নিয়ে গিয়েছিলেন। তার মুখে সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে তা সকল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই প্রেসিডেন্ট বুশের এই মিথ্যাচার ধরা পড়ে যায় এবং পশ্চিমা মিডিয়াতেই তা প্রকাশ পায়।


ইরাকে মার্কিন ও ব্রিটিশ সৈন্যরা যে তাণ্ডব চালিয়েছে, ইউক্রেনে পুতিন সেই তাণ্ডব চালাচ্ছে কিনা সন্দেহজনক। ভিয়েতনাম যুদ্ধে যখন ফরাসি সৈন্যরা পরাজিত হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন গায়ে পড়ে সেই যুদ্ধ চালাতে গিয়েছিল। সেখানেও তাদের বর্বরতার সীমা ছিল না। নাপাম বোমা ফেলে ভিয়েতনামের উর্বর মাটিকে প্রায় মরুভূমি করে ফেলা হয়। কিন্তু আমেরিকা সেই যুদ্ধে পরাজিত হয়। ভিয়েতনামের মতোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গায়ে পড়ে ইউক্রেন যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। আমেরিকা চালাকির সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। কিন্তু গোপনে ইউক্রেনে সৈন্য এবং রসদ পাঠাচ্ছে। এটা ইউক্রেন বনাম রাশিয়ার যুদ্ধ নয়। ইউক্রেনের মাটিতে আমেরিকা ও রাশিয়ার বেনামি যুদ্ধ চলছে। সারা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়াকে পঙ্গু করার চেষ্টা চলছে।


আমি যুদ্ধ সমর্থন করি না। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা সমর্থন করি। ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে আগে যুক্ত ছিল এবং রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ। এই দেশে আমেরিকা তাদের এক তাঁবেদার প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় বসায় এবং দেশটি মার্কিন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করে ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে অর্থাৎ ইউক্রেনে রাশিয়াবিরোধী একটা সামরিক ঘাঁটি করার জন্য আমেরিকা চেষ্টা করছিল। রাশিয়া তার সীমান্তে শত্রুপক্ষের এই সামরিক উপস্থিতি নীরবে সহ্য করতে পারে না। তাই বারবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন আক্রমণ করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও