সেই রাজাকার, এই রাজাকার!
১৯৭১ সাল, সাড়ে সাত কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাদুকরী নেতৃত্বে এক দেহ-এক প্রাণ হয়ে উঠেছিল। আর সেই একটি দেহের একটি প্রাণের ভেতর থেকে একটিমাত্র চাওয়া প্রস্ফুট হচ্ছিল—স্বাধীনতা।
কিছু শয়তান ছাড়া প্রত্যেক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার জন্য অবদান রেখেছিল। অসম লড়াই জেনেও কেবল প্রাণের আবেগকে শ্রেষ্ঠ অস্ত্র বানিয়ে আমাদের মুক্তিবাহিনী গেরিলা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে পরম পরাক্রমশালী পাকিস্তানি হানাদারদের পরাভূত করার সব আয়োজন সম্পন্ন করে চলেছিল।
একাত্তরের অক্টোবরের কোনো এক ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা অপারেশন শেষে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত অবস্থায় এক বাড়িতে আশ্রয় চাইলেন। বাড়িওয়ালা অতি আন্তরিকতায় তাঁদের জলপান করিয়ে নিজের অপারগতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিদায় জানালেন। শুধু জলপানেই তিনি যে আন্তরিকতা দেখালেন, তাতেই মুক্তিযোদ্ধারা অভিভূত হয়ে বাড়ি থেকে দ্রুত প্রস্থান করলেন।