বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখা স্মার্ট এনআইডি ছাপা বন্ধ
বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দখচিত স্মার্ট এনআইডি ছাপা বন্ধ রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেটভুক্ত সব বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে এ ধরনের কার্ড ইস্যু হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় কাজটি বন্ধ।
ফলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা এ কার্ডের জন্য ইসিতে গিয়ে খালি হাতে ফেরত আসছেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মতি ছাড়াই এ ধরনের কার্ড ছাপার পর বিতরণ শুরু করে বিদায়ি কেএম নূরুল হুদার কমিশন। তখন ৮২ জনের নামে এই কার্ড ছাপা হয়।
মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব হিসাবে গত ২০ মার্চ পর্যন্ত গেজেটেড বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৬ জন। তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় স্মার্ট কার্ড ও ডিজিটাল সনদ বিতরণ শুরু করতে চায় শিগগিরই। এ সংক্রান্ত কাজও চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এভাবে কার্ড বিতরণ শুরু করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা এ বিষয়ে ইসির এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
ইসির বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দখচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। তিনি যুগান্তরকে বলেন, তারা কোন অধিকারে এসব কার্ড দিচ্ছে তা আমরা জানি না। এ কার্ড ছাপা শুরুর আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়েছে কী না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ‘না’ সূচক উত্তর দেন।
নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব ও এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত কার্ড বিতরণ শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি যুগান্তরকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা সবাইকেই জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া নির্বাচন কমিশনের কাজ। কিন্তু তারা সেই কাজটি সঠিকভাবে করছে না। অনেক নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল তথ্য রয়েছে। ওইসব ভুল সংশোধন না করে তারা কোন এখতিয়ারে জাতীয় পরিচয়পত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দ লিখছে-এটা তাদের কাজ নয়। কে মুক্তিযোদ্ধা, কে মুক্তিযোদ্ধা নয় তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের, ইসির না।