বাংলাদেশের স্বার্থের শিবির কোনটি

প্রথম আলো ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২২, ১২:২২

ইরাক আগ্রাসনের পর থেকে বিগত দুই দশকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধের পরিচালিত যুদ্ধটা ইসলাম ও মুসলমানের জীবন, সম্পদ ও সম্মানের সমূহ ক্ষতি করেছে। পরাশক্তি আমেরিকার একটা সার্বক্ষণিক শত্রু থাকার বাধ্যবাধকতার বলি হয়েছে বহু হতাশাচ্ছন্ন দিগ্ভ্রান্ত বেকার যুবক।


দেশে দেশে স্বৈরাচারী মুসলিম সরকারের সহযোগিতায় মার্কিন যুদ্ধ ও ছায়া শত্রু প্রসারিত হয়েছে। ভ্রাতৃঘাতী হিংসায় নগরসভ্যতা ধ্বংস হয়েছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনে নিয়মিত ভূমি দখল ও প্রাণহরণ চলেছে। বোধগম্য কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মুসলিম জনমত প্রবলতর হয়েছে দেশে দেশে। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর বাংলাদেশের মানুষের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব সুস্পষ্ট। সমাজতন্ত্রী কিংবা সাম্যবাদী কোনোটাই না হয়েও বরং নিরেট পুঁজিবাদী ও একনায়ক পুতিন সাবেক কমিউনিস্ট সোভিয়েত চিন্তার প্রভাবে এবং রাজনৈতিক হেজেমনির প্রশ্নে বাংলাদেশের বাম অঙ্গনে জনপ্রিয়ই থেকে গেছে। পাশাপাশি গুম, খুন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র হরণ প্রশ্নে বাংলাদেশের এলিট ফোর্সের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থকেরাও মার্কিনবিরোধী অবস্থানের তুঙ্গে আছেন। সব মিলে পুতিনের বাংলাদেশি সমর্থনপ্রাপ্তির ভাগ্যে যেন সোনায় সোহাগা। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থটা যুক্তরাষ্ট্র–ইইউ–জাপান কিংবা চীন-রাশিয়া শিবিরের কোন দিকে হেলানো?


বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিসাবে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রমে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা এসেছে। করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া মোট টিকা অনুদান সাড়ে চার কোটি ডোজ ছাড়িয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ২০১৭ সালে মোট দ্বিমুখী পণ্যের বাণিজ্য ৭১০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের রপ্তানি ৫৬০ কোটি ডলার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি মাত্র ১৪০ কোটি ডলার। প্রধান রপ্তানি খাতগুলো হচ্ছে—তৈরি পোশাক (৫০০ কোটি ডলার), টেক্সটাইল সুতা ও কাপড় (২৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার), পাদুকা (১০ কোটি ১০ লাখ ডলার), বিবিধ উৎপাদিত পণ্য (৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার) এবং হাতব্যাগ (৬ কোটি ১০ লাখ ডলার)। বিপরীতে বাংলাদেশের ক্রয় তেল ও তেলবীজ, সুতা, ধাতব আকরিক, পশুখাদ্য ইত্যাদি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে বাংলাদেশের রপ্তানি চার গুণ বেশি। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথমবারের মতো এক বছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতে আয় ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও