সীমার চেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে ১১ ব্যাংক
আইনের মধ্যে আনতে ব্যাংকগুলোর অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেসিও (এডিআর) বা ঋণ-আমানত অনুপাতসীমা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও আগ্রাসী বিনিয়োগ ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এডিআর সীমার বাইরে ঋণ দিয়েছে সরকারি-বেসরকারি ১১ বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত আইনে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে টানা পাঁচবার এডিআর সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও অনেক ব্যাংক এটি সমন্বয় করতে পারেনি। পরবর্তীতে করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে গতিশীলতা আনা, ব্যাংকিং খাতের সার্বিক তারল্য পরিস্থিতির উন্নয়নে এডিআর ২ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমানে প্রচলিত ধারার ব্যাংক ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে ৮৭ টাকা এবং ইসলামি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক ৯২ টাকা পর্যন্ত ঋণ বা বিনিয়োগ করতে পারে। এর মধ্যে উল্লিখিত সীমা অতিক্রম করে ঋণ দিয়েছে ১১টি ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে প্রচলিত ধারার পদ্মা ব্যাংকের এডিআর দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, বেসিক ব্যাংকের ৯০ দশমিক ৯৬ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৮৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ, এনআরবিসি ব্যাংকের ৮৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ব্যাংক আল-ফালাহ ৮৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সীমার বাইরে বিনিয়োগ রয়েছে এক্সিম ব্যাংকের ৯৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৯৬ দশমিক ২০ শতাংশ, পূবালী ব্যাংকের শরিয়াহ শাখার ৯৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৯৪ দশমিক ২১ শতাংশ এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৯২ দশমিক ১৫ শতাংশ।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- সীমারেখা
- ব্যাংক ঋণ
- ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড
- এবি ব্যাংক লিমিটেড
- পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড
- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
- পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
- এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক