যেসব ব্যক্তির জন্য আসমানের দরজা খোলা হয়
আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদেরকে আদেশ করেছেন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার জন্য। বান্দা যেকোনো সময়ে আল্লাহর কাছে যেকোনো জিনিস চাইতে পারে। আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। ’ এমন কিছু আমল আছে, যার দ্বারা সরাসরি আসমানের দরজা খুলে যায়।
নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো—
এক. গভীর রাতে আল্লাহকে স্মরণ : গভীর রজনীতে পুরো দুনিয়া যখন ঘুমের ঘোরে হারিয়ে যায়; ঠিক সে সময়ে কোনো বান্দা ওঠে আর আল্লাহকে ডাকে, তার জন্য আসমানের দরজা খুলে যায়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে; আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আমাদের রব ঘোষণা করতে থাকেন, ‘আমার কাছে প্রার্থনা করবে কে? আমি তার প্রার্থনা কবুল করব। ’ এভাবেই ফজর পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৩৮২১)
দুই. মানুষের প্রয়োজন পূরণ : বিপদাক্রান্ত মানুষের প্রয়োজন পূরণ করলে আল্লাহ তাআলা আসমানের দ্বার খুলে দেন, অন্যথায় তার জন্য আল্লাহ তাআলা আসমানের দরজা বন্ধ করে দেন। আমর ইবনে মুররা (রা.) থেকে বর্ণিত, মুআবিয়া (রা.)-কে আমর ইবনে মুররা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-কে আমি বলতে শুনেছি, গরিব-মিসকিন ও নিজ প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশে আগমনকারী লোকের জন্য যে নেতা নিজের দরজা বন্ধ করে রাখে, এ ধরনের লোকের দারিদ্র্য, অভাব ও প্রয়োজনের সময় আল্লাহ তাআলাও আকাশের দরজা বন্ধ করে রাখবেন। মুআবিয়া (রা.) এ কথা শোনার পর থেকে এক লোককে মানুষের প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশে নিযুক্ত করেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১৩৩২)