কিশোর-কিশোরীদের স্বপ্নকে আমরা কি গুরুত্ব দিচ্ছি

প্রথম আলো লায়লা খন্দকার প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২২, ১৬:০০

ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের স্বপ্ন বোঝার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের গবেষকেরা ২০২১ সালের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করেন। ১৪৫ কিশোর-কিশোরীর ওপর করা এ জরিপে বাংলাদেশের আটটি বিভাগের বাংলা, ইংরেজি ও মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করা হয়েছিল। গবেষণায় জানা যায়, কিশোর-কিশোরীরা চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ব্যাংকার, আইনজীবী, মাওলানার মতো মূলধারার পেশার পাশাপাশি ইউটিউবার, পেশাদার গেমার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ভয়েস আর্টিস্ট, সমাজসেবী, ক্রিকেটার ইত্যাদি পেশা নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশের জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২১-এ এসব তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


কিশোর-কিশোরীরা চারুকলা, কনটেন্ট তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া, আইসিটি ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কারণ, এগুলো তাদের জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘কিন্তু তারা পুরোনো শ্রেণিকক্ষভিত্তিক শেখার কাঠামোতে আটকা পড়ে আছে, যা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুব কম বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না। কেউ কেউ মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’


কিশোর-কিশোরীদের স্বপ্নের সঙ্গে বর্তমানে তারা যা শিখতে বাধ্য হচ্ছে, তার বিরাট ব্যবধান এ প্রতিবেদন তুলে ধরেছে। পরিবারের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য। এখনো অনেক মা-বাবা পড়াশোনা ও পেশা নিয়ে নিজেদের ইচ্ছাকে সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দেন। একটি শিশুর শিল্পী বা বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্নকে অবাস্তব বলে উড়িয়ে দেওয়া সাধারণ ঘটনা। মা-বাবার প্রত্যাশার চাপ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানদের সৃজনশীল সম্ভাবনার বিকাশে বাধা দেয়। কেউ যদি পেশাগত জীবনে অর্থপূর্ণ কিছু অবদান রাখতে চায়, তাহলে তাকে সে বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহী হতে হবে। তাই কিশোর-কিশোরীরা যদি নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পড়াশোনা বা পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়, তাহলে তাদের জীবনে হতাশা ও অসন্তোষ তৈরি করে।


কয়েক বছর আগে টাঙ্গাইলের কয়েক কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে কথা বলার সময় একজন কিশোরী জানিয়েছিল, ‘মা-বাবা যদি মনে করেন যে গান গাওয়া বা খেলাধুলা পরীক্ষায় ভালো ফলাফলে সাহায্য করবে, তাহলে তারা আমাদের এসব বিষয়ে সময় দিতে দেবেন।’ পরীক্ষায় ভালো করাটা যে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ব্যাপার হয়ে উঠেছে, এ মন্তব্য সেটা মনে করিয়ে দেয়। কোচিং সেন্টারনির্ভর নিরানন্দ জীবনে বন্দী আমাদের দেশের শিশু-কিশোরেরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও