লিটারে ৯ টাকা কমেছে সয়াবিন
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে দেশের পাইকারি বাজারে সয়াবিনের দর বাড়ছিল। সরবরাহও কমছিল। ফলে এ মাসের শুরুতে পাইকারি বাজারে প্রতি লিটারে দর ওঠে প্রায় ১৫০ টাকা। গতকাল বুধবার তা কমে ১৪১ টাকায় নেমে আসে।
ব্যবসায়ীরা জানান, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে পরিশোধন কারখানাগুলো থেকে নিয়মিত সয়াবিন তেলের সরবরাহ না আসার কারণে সংকট
তৈরি হয়। এতে দামও বেড়ে যায়। এখন কারখানাগুলো প্রতিদিনই তেল সরবরাহ করছে। তাই দামও কিছুটা কমেছে।
এদিকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি মোকামে দাম কমার এ খবরের সঙ্গে আরেকটি খবর দিয়েছে সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। গতকাল বিকেলে বিভাগটি ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ফলে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম তেল আমদানিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ কমে ৫ শতাংশ হয়েছে, যা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর আগে উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়।
দাম কমার কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন ভোজ্যতেলের উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি এবং আমদানিতে ভ্যাট কমানো হয়েছে। বিশ্ববাজারেও সয়াবিনের মূল্য কিছুটা সংশোধন হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে ৭৫ হাজার টন সয়াবিন আসা এবং বাজারে অভিযানের কারণেও পাইকারি পর্যায়ে প্রভাব পড়েছে।
খাতুনগঞ্জের আরএম এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার শাহেদ উল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দাম কমার যত উপাদান আছে, সবই কার্যকর হয়েছে গত এক সপ্তাহে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম সংশোধন হয়েছে। দেশে ভ্যাট কমেছে। আগের চেয়ে সরবরাহ বেড়েছে। অর্থাৎ যে সংকট তৈরি হয়েছিল, তা কেটে যাওয়ায় দাম কমেছে।