প্রযুক্তির বাইরে আঁধারে পুলিশ

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২২, ১০:০০

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হারিছ চৌধুরী বেঁচে আছেন না মারা গেছেন, তা নিয়ে বেশ আলোচনা রয়েছে। তবে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিতের পর সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, তিনি মারা গেছেন। সেই বিশ্বাসের সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এত দিন পুলিশের নাকের ডগায় তিনি কী করে ঘুরে বেড়ালেন? এর সহজ উত্তর, তিনি কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করতেন না।


আরেকটি ঘটনা। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল হক রানা সাজা মাথায় নিয়ে ২২ বছর পলাতক ছিলেন। ধরা পড়ার পর খোঁজ করা হলো, এত দিন তিনি কী করে পলাতক থাকলেন? তার উত্তর তিনি নিজেই রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে দিয়েছেন। বলেছেন, ১৫ বছর ধরে তিনি ফোন ব্যবহার করতেন না। ফলে কেউ তাঁর অবস্থা জানতে পারেনি।


দুটি জলজ্যান্ত ঘটনা থেকে যা পাওয়া গেল তা হলো, কোনো অপরাধী যদি প্রযুক্তির বাইরে থাকেন, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে আর সহজে ধরতে পারছেন না। তাঁরা অন্ধকারে থাকছেন। তবে মামলা তদন্তে পুলিশের এই প্রযুক্তিনির্ভরতা ছিল না। বছর দশেক হলো অপরাধী ধরতে প্রযুক্তির ওপর ভরসা করতে শুরু করে পুলিশ। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে প্রযুক্তি ব্যবহার না করলেই পুলিশ আর কাউকে খুঁজে পায় না।


সিআইডির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান অবশ্য বলছেন, বিষয়টি ঠিক এমন নয়। তবে কোনো অপরাধের শিকার বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির মুঠোফোন ব্যবহারের অভ্যাস জানলে তাঁর চরিত্র এবং অবস্থান সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাওয়া যায়। না হলে তুলনামূলক কাজটি কঠিন হয়ে পড়ে।


আজকের জমানায় এসে এটা মানতে হবে যে অপরাধী শনাক্তকরণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি খুবই জরুরি। কোথাও কোনো অপরাধ ঘটামাত্রই শুরু হয় ওই এলাকায় ব্যবহৃত মুঠোফোনের ওপর নজরদারি। কেউ হত্যার শিকার হলে তাঁর মুঠোফোন নম্বর আগেই চলে যাচ্ছে পুলিশের কবজায়। শুরু হয় বিস্তর বিশ্লেষণ। আবার সন্দেহভাজন ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা আইডি দিয়েও নজরদারি করা হচ্ছে। তাতে সফলতাও অনেক আছে। তারপরও এত অর্জনের পাশাপাশি ব্যর্থতার গল্প কম নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও