মাটিদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও এর প্রতিকার

কালের কণ্ঠ ধরিত্রী সরকার সবুজ প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৫

মানুষসহ সব প্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য ভূমি বা মাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। মাটিতে জন্মানো উদ্ভিদ থেকেই আমরা খাদ্য পাই। মাটির ওপরের স্তরের উৎকর্ষের ওপর মাটির উর্বরতা ও উদ্ভিদের উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে। মাটির ওপরই সব প্রাণীর চলাচল।


মাটির ওপর ঘরবাড়ি তৈরি করে আমাদের বসবাস। আবার আমাদের আচরণ ও কর্মকাণ্ডের কারণেই মাটির বিভিন্ন উপাদান নষ্ট হচ্ছে। কখনো মাটির মধ্যে দূষিত পদার্থ মিশে যাচ্ছে, মাটির ক্ষয় হচ্ছে, মরুময়তার বিস্তার হচ্ছে, লবণাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে বা মাটির গুণাগুণ হ্রাস পাওয়ার মতো ঘটনাগুলো ঘটছে। মাটির ওপরের পুষ্টি উপাদান হ্রাস পাচ্ছে, মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধিকারী জীবাণুর জীবনধারণে ব্যাঘাত ঘটছে। এর ফলে মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এ ধরনের ভূমিদূষণ বা মাটিদূষণের ঘটনাগুলো আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়তই ঘটছে। কিন্তু প্রাণী ও উদ্ভিদসহ সব ধরনের জীববৈচিত্র্যের জন্যই মাটিদূষণ খুব ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।


বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। এখনো দেশের বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষিতে একসময় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগল। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ল। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে এবং ফসলের অধিক ফলন পাওয়ার জন্য রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে কীটনাশকের ওপর কৃষকের নির্ভরশীলতা বেড়েছে অনেক। জৈব সার ও জৈব বালাইনাশকের পরিবর্তে অহরহ ব্যবহৃত হচ্ছে এসব রাসায়নিক সার ও কীটনাশক। ক্ষেতের ফসলের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ধ্বংস করার সঙ্গে সঙ্গে মাটির জন্য উপকারী কীটপতঙ্গকেও ধ্বংস করে ফেলছে এসব কীটনাশক। আবার শুধু যে জমিতে এগুলো দেওয়া হচ্ছে সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের একটি অংশ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের মাটিতে এবং দূষণ পদার্থের উপাদানেরও বিস্তার ঘটছে সঙ্গে সঙ্গেই।


আবার কখনো কখনো ইটখোলাগুলো ইট তৈরির জন্য মাটি কিনে নেয়। কৃষিজমির মালিক একটি ফসল উঠে যাওয়ার পর অনেক সময় নগদ অর্থের প্রয়োজনে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করে দেন। কিন্তু এতে ভূমির উর্বরাশক্তি কমে যায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে ফসল উৎপাদন দারুণভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে। নভেম্বর মাসের দিকে যখন ইটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ইটখোলাগুলো পরিপূর্ণভাবে ব্যস্ত থাকে, তখন জমির মাটির চাহিদাও বেশ বৃদ্ধি পায়। মূলত ফসলি জমির উপরিস্তরের ৭ থেকে ১০ ইঞ্চির মধ্যে জৈব উপাদান এবং খাদ্য গুণাগুণ থাকে। জমির উর্বরাশক্তির জন্য এ স্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জমির মালিক এ স্তরের মাটি বিক্রি করে দিলে ফসলের উৎপাদন অনেক কমে যায়। আবার একবার ফসলি জমির মাটি কাটা হলে তার উৎপাদনক্ষমতা বা উর্বরাশক্তি ফিরে আসতে ৮-৯ বছর সময় লেগে যায়। অর্থাৎ উপরিভাগের মাটি বিক্রি দীর্ঘ মেয়াদে ফসল উৎপাদনে একটি ঋণাত্মক প্রভাব ফেলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও