You have reached your daily news limit

Please log in to continue


অর্থনৈতিক বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়েই গেল

এই পৃথিবী কখনোই যুদ্ধবিহীন ছিল না। তবে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপে যুদ্ধ ফিরে আসাটাই অনেক বড় ঘটনা। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর হবে কি না, সেই প্রশ্ন মাথায় নিয়েই বলা যায়, এখন যে যুদ্ধ শুরু হলো—এটা কি প্রথম অর্থনৈতিক বিশ্বযুদ্ধ?

যুদ্ধের অর্থনীতি ও মহাবিভ্রম

আধুনিক বিশ্বে যুদ্ধ নিয়ে যেকোনো আলোচনায় দ্য গ্রেট ইলিউশন বইটার প্রসঙ্গ এসেই পড়ে। এর লেখক ছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, লেখক ও শান্তিবাদী রালফ নর্মান অ্যাঞ্জেল। বইটির প্রকাশিত হয়েছিল অবশ্য বেশ আগে—১৯০৯ সালে।

নর্মান অ্যাঞ্জেল লিখেছিলেন, আসলে একটি যুদ্ধের অর্থনৈতিক ক্ষতি এত বেশি যে যুদ্ধ শুরু করে কেউ আসলে শেষ পর্যন্ত লাভবান হয় না। বরং যুদ্ধের পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। এ কারণে সাধারণভাবে বলা যায়, ইউরোপে যুদ্ধ আর হবে না, হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। কারণ, যুদ্ধ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অযৌক্তিক। আর শিল্পোন্নত দেশের মধ্যে যুদ্ধ আরও নিরর্থক। বিজয়ী হলেও তা থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না। সুতরাং যুদ্ধের মাধ্যমে একটি জাতি লাভবান হয় বলে যদি কেউ মনে করেন, তাহলে সেটাই আসল ‘গ্রেট ইলিউশন’ বা মহাবিভ্রম। নর্মান অ্যাঞ্জেল মনে করতেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনীতিতে পারস্পরিক নির্ভরতাই হবে একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের ভালো আচরণের প্রকৃত রক্ষাকবচ। কারণ, যুদ্ধ জড়িত সব দেশের জন্যই অর্থনৈতিকভাবে তা ক্ষতিকারক হবে।’

যুদ্ধের লাভ-ক্ষতি

নর্মান অ্যাঞ্জেল মারা গেছেন ১৯৬৭ সালে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে। এখন রাশিয়া একটি পৃথক রাষ্ট্র। নেই ন্যাটোর পাল্টা হিসেবে সোভিয়েতপন্থীদের ওয়ারশ চুক্তি। আবার তিনি যেমনটা মনে করেছিলেন যে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে না বলে যুদ্ধ জড়ানো ঠিক হবে না, তা-ও পুরোপুরি সঠিক হয়নি। ইরাক যুদ্ধ কতটা সামরিক প্রয়োজনে আর কতটা তেলের অধিকার বাড়াতে, সে প্রশ্ন তো আছেই।

দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তির অবস্থানটি ধরে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই জায়গায় চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চীন। ফলে বেশ কয়েক বছর ধরেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া এখন আর বড় অর্থনৈতিক শক্তি নয়। তবে বড় সামরিক শক্তি। ইউক্রেনে সামরিক হামলা শুরু করার পরে এখন পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। যে ন্যাটোকে সমর্থন দিয়েছিলেন নর্মান অ্যাঞ্জেল, সেই ন্যাটোও রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের বড় কারণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন