ভোজ্যতেলের বড় দুই কারখানায় অভিযান
ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তদারকির অংশ হিসাবে রোববার দেশের দুটি বড় কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। চট্টগ্রামের মইজ্যারটেক ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথক অভিযানের সময় বেশ কিছু অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির সঙ্গে জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না। প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান ও গুদামে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় গোডাউন সিলগালা ও জরিমানা করা হয়। খবর চট্টগ্রাম ব্যুরো, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ), ভোলা, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) ও গলাচিপা প্রতিনিধিদের।
রূপগঞ্জে একটি বড় সয়াবিন তেলের কারখানায় অভিযানের পর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকটের জন্য বড় ব্যবসায়ীরা দায়ী। আমাদের তদন্তে সেই রকমই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ভুল তথ্য প্রচার করে বাজারে দাম বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে দাম বাড়তে পারে এমন ধারণা থেকে বড় ব্যবসায়ীরা তেল মজুত করেন। একইসঙ্গে দামও বাড়িয়ে দেন। ফলে খোলাবাজারেও এর দাম বেড়ে যায়। অনেকে তেল মজুত করায় কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রামে অভিযান : কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্যারটেক এলাকায় অবস্থিত এস আলম ভেজিটেবল অয়েল কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংস্থার চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে রোববার দুপুরে চালানো এ অভিযানে প্রতিষ্ঠানের তেল বোতলজাতকরণের সেকশন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তেলের কারখানা সংশ্লিষ্টরা অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেছেন, মেরামতের জন্য তিনদিন ধরে এ সেকশনটি বন্ধ রয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এ কারখানায় তেল বোতলজাতকরণ সেকশন বন্ধ থাকলেও চালু আছে ড্রামে করে তেল বিক্রির প্রক্রিয়া। অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমরা কারখানা-সংশ্লিষ্টদের বলে এসেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত শেষ করে তারা যেন বোতলজাত তেল উৎপাদন শুরু করেন। উৎপাদন শুরু করে তারা যাতে আমাদের অবহিত করেন, সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, আনিছুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন।