বাজারের চিপস-চানাচুর-বিস্কুটে মারাত্মক হারে চিনি, লবণ ও চর্বি
দেশে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশ হয় অসংক্রামক রোগে। ২০৪০ সালে যা ৮০ শতাংশে ঠেকতে পারে। এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখবে খাদ্যে ভেজাল কিংবা মাত্রাতিরিক্ত স্বাদবর্ধক উপাদান। যে তালিকায় বাদ নেই শিশুদের পছন্দের চিপস, চানাচুর কিংবা বিস্কুটও। বাংলাদেশের এসব পণ্য নিয়ে এক দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গেছে প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোর অধিকাংশেই আছে মাত্রাতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
দেশের আটটি বিভাগ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির চিপস, চানাচুর, ভাজা মটর, ডাল ভাজা, নুডলস, বিস্কুট, লজেন্স, ললিপপ, মিল্ক চকোলেট, চাটনি এবং আইসক্রিম নিয়ে হয় এ গবেষণা। প্রতিটি ব্র্যান্ড থেকে নেওয়া হয়েছিল ১২টি করে নমুনা। পরীক্ষাটা করা হয়েছে ভারতের ফেয়ার ল্যাবস প্রাইভেট লিমিডেটে। ব্যবহার করা হয়েছে এওএসি মেথড। এতে দেখা হয়, প্যাকেটের লেবেলে উল্লেখ করা উপাদানগুলোর পরিমাণ ঠিক আছে কিনা বা মানদণ্ডের চেয়ে কমবেশি আছে কিনা।
নমুনাগুলো যাচাই করা হয় অস্ট্রেলিয়ার স্টার রেটিং স্কিম ও ব্রিটেনের ট্রাফিক লাইট পদ্ধতিতে। দেখা গেলো দুই পদ্ধতিতেই নমুনার কোনও পণ্য স্বাস্থ্যসম্মত বলে দাবি করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ পণ্যেই পুষ্টিগুণের ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়ে লেবেলিং করা হয়েছে।
‘সল্ট, সুগার অ্যান্ড ফ্যাট কন্টেন্ট ইন কমনলি কনজিউমড প্রসেডড প্যাকেজড ফুড অ্যান্ড দেয়ার কনফরমিটি উইথ লেবেল ইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই গবেষণায় প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ও হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। গবেষণাটি ২০১৯ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২০ সালে। এরপর এর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয় বলে জানান তিনি।