বাঙালির সংকট
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কালজয়ী অমর নৈবেদ্য ‘সভ্যতার সংকট’ শীর্ষক অভিভাষণে উল্লেখ করেন, ‘অধর্মেণৈধতে তাবৎ ততো ভদ্রাণি পশ্যতি (১)…’ অর্থাৎ অধর্মের দ্বারা মানুষ বাড়িয়া ওঠে, অধর্ম হইতে সে আপন কল্যাণ দেখে, অধর্মের দ্বারা সে শত্রুদিগকেও জয় করে। কিন্তু পরিশেষে একেবারে মূল হইতে বিনাশ পায় (২)।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তির বার্তাবাহী কালজয়ী ভাষণে,
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম(৩)’’
পঙক্তি উচ্চারণের সাথে সাথে খসে পড়েছে বাঙালির হাজার বছরের দাসত্ব শৃঙ্খল, চুকে গেলো বঞ্চনা গ্লানির করুণ বেদনার্ত ইতিহাস। ভাষণের সমাপ্তিতে 'জয় বাংলা' ওঙ্কার ধ্বনিতে বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক জাতিসত্তার শুভ উদ্বোধন করলেন।
বাঙালির অমিত সম্ভাবনার প্রকাশ ঘটানোর পাশাপাশি তার সফল রাজনৈতিক বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন যে মহান কালজয়ী পুরুষ, সেই বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিতে বাঙালির চিরায়ত সামাজিক সাংস্কৃতিক সংকটগুলোও ধরা পড়েছে অনিবার্য ভাবেই। বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বাঙালির সংকট ও অসঙ্গতিগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির প্রয়াস পেয়েছেন ।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সংকট
- আত্মশুদ্ধি
- বাঙ্গালী