বাঙালির কাছে ‘মুক্তি’ এখনো দূরবর্তী স্টেশন
যুদ্ধহীন এক পৃথিবীর জন্য কত শান্তির বার্তা দেয় মানুষ- রাজপথ, মিটিং-মিছিল, সম্মেলন-সমাবেশ, কবিতা, গান, চলচ্চিত্র ও শিল্পকর্মে। আবার সেই মানুষ যুদ্ধের জন্য তৈরি করছে যুদ্ধবিমান থেকে নিউক্লিয়ার বোম, এমনকি রাসায়নিক অস্ত্র! একেকটি যুদ্ধ মানবসভ্যতাকে রক্তাক্ত করে। লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। অজস্র মানুষকে গৃহহীন ও ভূমিহীন করে, কখনো করে দেশান্তরিত। এর পরও মানুষ সভ্যতার সরণি বেয়ে কখনো কি যুদ্ধহীন একটি দিন পেয়েছে পৃথিবীতে? কখনো রক্তস্রােতে ভাসা যুদ্ধ, কখনো রক্তপাতহীন যুদ্ধ, কখনো বা স্নায়ুযুদ্ধ। তা হলে যুদ্ধহীন পৃথিবীর অস্তিত্ব কোথায়?
আবার অনাকাক্সিক্ষত যুদ্ধ অনেক সৃষ্টির উৎস। সেটি বাঙালির ইতিহাস থেকে উৎসারিত এক উপলব্ধি। ৫১ বছরের বাংলাদেশ নিজেই আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে যুদ্ধজাত এক দেশ। আবেগ আর চেতনার দুটি শক্ত পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ। পাকিস্তানিদের ভাষা শাসনের প্রতিবাদে বাহান্নর মাতৃভাষার আন্দোলন। ভাষা শাসনের প্রতিবাদ শুধু কণ্ঠ দিয়ে নয়; বাঙালি করেছিলেন রক্ত দিয়ে, প্রাণ দিয়ে। ওই ভাষা আন্দোলনই বাঙালির প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে যায় স্বাধীনতা আন্দোলনের।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বাঙালি
- মানবসভ্যতা