মহিলা দলে এখন 'সর্বাঙ্গে ব্যথা'
বিতর্কিতদেরই ডিমান্ড, নেই চেইন অব কমান্ড; নিবেদিত নেতাকর্মীরা 'একঘরে', আন্দোলন-সংগ্রাম গেছে 'হিমাগারে'। আছে ঘরোয়া বিবাদ, সঙ্গে নেই কমিটির মেয়াদ। রাজনৈতিক একটি দলের দেউলিয়াত্ব প্রমাণের জন্য এর চেয়ে বেশি কারণ খোঁজার আবশ্যকতা নেই। সংগঠনটি জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। দলটির এখন 'সর্বাঙ্গে ব্যথা'।
অনেক দিন ধরেই ভালো নেই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। দায়িত্বশীল নেতাদের অসৌজন্যমূলক আচরণে মহিলা দল থেকে একে একে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। ফলে দিন দিন কমছে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এ সংগঠনটির নারী কর্মী। এ রকম প্রেক্ষাপটে মহিলা দলকে পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমানকে নতুন কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মহিলা দলের নতুন নেতৃত্ব আফরোজা আব্বাস (সভাপতি) ও সুলতানা আহমেদের (সাধারণ সম্পাদক) হাতে তুলে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বিএনপি। তাতে লাভ হয়নি মোটেও। ছাত্রদলের পরিশ্রমী সাবেক নেত্রীদের কোণঠাসা করে বিতর্কিতদের পদায়নের মাধ্যমে পুরো মহিলা দলকেই এক বৃত্তে বন্দি করা হয়েছে বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। কয়েক বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সংগঠনটি। আর অন্তর্কোন্দলে সাংগঠনিক কার্যক্রম একেবারেই নড়বড়ে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, ২০১৬ সালে যাদের হাতে এই সংগঠনের ভার তুলে দেওয়া হয়, তাদের কারোরই ছাত্রদলের অতীত ইতিহাস যেমন ছিল না, তেমনি অনেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থান নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।