মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি আমেরিকার 'অস্ত্র'?
লিশের এলিট বাহিনী র্যাব সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। কিছুদিন আগে দেশের সব প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদটি এসেছিল গুরুত্ব দিয়ে। র্যাবকে শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধের দাবি অবশ্য নতুন নয়। গত বছর এবং তার আগের বছরের মানবাধিকার দিবসেও এমন দাবি জানিয়েছিল মানিবাধিকার সংস্থাগুলো। তবে সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারকার আহ্বানের আলাদা গুরুত্ব তৈরি হয়েছে।
বিবৃতি দেওয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে দুটি সংস্থা আমাদের দেশে বেশ পরিচিত- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এগুলো পরিচিত কারণ, এরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, বিবৃতি দিয়েছে। মজার ব্যাপার, এ দুটি সংস্থা আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এমন কিছু কখনও বলেনি, যা আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেনি।
আগে যখনই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নানা ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছিল, তখন বলাই বাহুল্য, সরকার সেটা অস্বীকার করেছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাজ্য এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এদের পশ্চিমা পরিচয় সরকারকে এদের বিরুদ্ধে এক নতুন বয়ান তৈরিতে সাহায্য করেছে। প্রায়ই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বলেন, এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিভিন্ন দেশকে শায়েস্তা করার জন্য আমেরিকাসহ পশ্চিমা পৃথিবীর অস্ত্র। তাদের বক্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থ- এ রকম আমেরিকা বা অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো অন্য কোনো দেশকে যদি চাপ প্রয়োগ করতে চায়, তাহলে এসব মানবাধিকার সংস্থা দিয়ে কোনো রিপোর্ট করানো হয়। তারপর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই সরকারকে চাপে ফেলা হয়।