সাদা মানুষদের যুদ্ধ যা শেখাল

প্রথম আলো ফারুক ওয়াসিফ প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২২, ০৭:৩৩

যুদ্ধের প্রথম শহীদ হয় সত্য; এ কথা যেমন ঠিক, তেমনি যুদ্ধের ঝলকানিতে নাঙ্গা হয়ে পড়ে অনেক অন্ধকার।


‘যারা আমাদের মতো নয়’


ইউরোপের মানুষেরা যখন বাদামি বা কালো মানুষদের হত্যা করে, তাদের জমির দখল নেয়, তখন তার নাম হয় ‘সভ্যকরণ প্রকল্প’। সাদা মানুষেরা যখন আরবের মুসলিমদের হত্যা করে, তখন তা হয় সন্ত্রাস দমনের যুদ্ধ। আমেরিকা যখন ইরাক ও আফগানিস্তানে গণহত্যা চালায়, তখন তার নাম হয় ‘গণতন্ত্রায়ণ’। ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিন দখল করে রাখে, হামলা চালায় লেবাননে, হত্যা করে শিশুদের, তখন তা হয়ে যায় ‘আত্মরক্ষার অধিকার’।


এ রকম মিথ্যার বাগ্‌ধারায় বর্বরতাকে আড়াল করার নাম ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতি’। রাশিয়ার ইউক্রেন হামলাকে ইউরো-মার্কিন গণমাধ্যম যে সাহস নিয়ে আগ্রাসন বলতে পারছে, ইরাক-আফগানিস্তান-ফিলিস্তিনের বেলায় তারা তা বলতে পারেনি। কারণ, ইরাক আগ্রাসনকারী জর্জ বুশের ভাষায় ‘আমাদের জীবনধারা (আওয়ার ওয়ে অব লাইফ) তাদের মতো নয়। কারণ, তারা আমাদের মতো নয়। তারা আমাদের মতো খাদ্য খায় না, আমাদের মতো পোশাক পরে না এবং আমাদের ধর্মেরও তারা কেউ না।’


ইউক্রেনের শরণার্থীদের ছবি দেখে মার্কিন সিবিএস নিউজের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলে ফেললেন, ‘এটা ইরাক অথবা আফগানিস্তান নয়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে, ইউক্রেন তাদের চেয়ে অনেক সভ্য, ইউরোপীয়।’ এটা বিচ্ছিন্ন মন্তব্য নয়। বিবিসিতে কথা বলার সময় ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা বলছিলেন, ব্লন্ড চুল আর নীল চোখের ইউক্রেনীয়রা গাড়িতে করে পালাচ্ছে। এই বর্ণবাদী মন্তব্যের সঙ্গে সহমত জানিয়ে বিবিসির সাংবাদিক বললেন, ‘আমি আপনার আবেগ বুঝি ও সম্মান করি।’ ফরাসি টিভিতে আরেক সাংবাদিক বললেন, ‘আমরা সিরীয় শরণার্থীদের কথা বলছি না, আমরা বলছি, আমাদের মতো দেখতে ইউরোপীয়দের কথা।’ ব্রিটেনের টেলিগ্রাফে একজন লিখলেন, এটা দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের ওপর চলা যুদ্ধ না, ইউক্রেনীয়রা নেটফ্লিক্স দেখে, তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও