মহামারীর ২ বছর: কতটা সামাল দিতে পেরেছে বাংলাদেশ?
দেশের স্বাস্থ্য খাতের অনেক রোগ দেখিয়ে দিয়েছে যে মহামারী, তার দুই বছর পূর্ণ হল তুলনামূলকভাবে কম সংক্রমণ আর টিকাদানে স্বস্তির এক সময়ে।
প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছরে এসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দেড়শ শতাংশের বেশি, মৃত্যুও বেড়েছে কাছাকাছি হারে। তবে সেজন্য মূলত এ ভাইরাসের অতি সংক্রামক ও প্রাণঘাতী নতুন ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে মহামারীর প্রথম বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু করেছিল সরকার। প্রাথমিক সরবরাহ সঙ্কট কাটিয়ে দেশের তিন চতুর্থাংশ মানুষকে ইতোমধ্যে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে, দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ পেয়েছেন দুই ডোজ টিকা।
সংক্রমণ কমিয়ে আনতে এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাদের বিচারে মহামারী মোকাবেলায় সাফল্য-ব্যর্থতায় বাংলাদেশের অবস্থান ‘মাঝামাঝি’।
সংক্রমণের শুরুতে, অর্থাৎ প্রথম বছরে বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের দুটি ভ্যারিয়েন্ট দাপিয়ে বেড়ালেও ২০২১ এর মাঝামাঝি থেকে প্রাণঘাতি ‘ডেল্টা’ এবং পরের দিকে আসা অতি সংক্রামক ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্টের আগ্রাসন সব ওলটপালট করে দেয়।
মূলত এ দুই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবেই মহামারীর দ্বিতীয় বছরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। তবে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় তা কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজীর আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য-ব্যর্থতা দুটোই আছে। বাংলাদেশ মহামারী মোকাবেলায় প্রকৃতির অনেক সহায়তাও পেয়েছে।”